<p>মার্কিন ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কিয়েভ সফরের সময় ইউক্রেনের নেতৃত্ব রাশিয়ার ভূখণ্ডে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা তুলে নেওয়ার ডাক দিয়েছে। শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।</p> <p>রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুরস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়ে এখনো সেখানকার জমি দখল করে রয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রুশ সেনাবাহিনী সেই অঞ্চল উদ্ধার করতে না পারলেও ইউক্রেনের ভূখণ্ডের আরো অংশ বেদখলের উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে মোকাবেলা করতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র চাইছেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।</p> <p>মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির যৌথ কিয়েভ সফরের সময় জেলেনস্কি এমন দাবি জানিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে চান। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালও ল্যামিকে এমন ছাড়পত্রের অনুরোধ করেছেন। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা সেই ছাড়পত্র চেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছেন। বাইডেন অবশ্য এতকাল রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়ে এসেছেন।</p> <p>ল্যামি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তিনি ইউক্রেনের মানুষ ও নেতৃত্বের বক্তব্য শুনতে এবং কৌশল বুঝতে কিয়েভে এসেছেন। তিনি ইউক্রেনের জন্য ব্রিটেনের ৬০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি সহায়তার ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ব্রিটেন চলতি বছরই কয়েক শ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা অস্ত্র প্রয়োগের প্রশ্নে ব্রিটেন শুরু থেকেই বেশ সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে।</p> <p>এদিকে চলতি বছরের শীতকালে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের কী অবস্থা থাকবে এবং রাশিয়া সে দেশের অবকাঠামোর ওপর আবার কতটা হামলা চালাবে, সে বিষয়ে একটা আগাম ধারণা পাওয়ার চেষ্টা চলছে। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সে দেশ ইউক্রেনের জন্য সহায়তা চালিয়ে যেতে পারবে কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া সম্প্রতি ইরানের কাছ থেকে কমপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাওয়ার ফলেও কিয়েভে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ব্লিনকেন ইউক্রেনের জন্য ৭১ কোটি ৭০ লাখ ডলার অঙ্কের নতুন অর্থনৈতিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অর্ধেক ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর জন্য ব্যয় করা হবে।</p> <p>ব্লিনকেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ‘উইন্টার প্লেবুক’ অনুযায়ী শীতকালে ইউক্রেনের মানুষের বিরুদ্ধে শীতকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের অভিযোগ করেন। ইউক্রেনের সহায়তাকারী জোটের দৃঢ় প্রত্যায়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের জন্য সহায়তা ও ঐক্যে কোনো চিড় ধরবে না। ইউক্রেনের প্রতি নিজের ব্যক্তিগত সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে ব্লিনকেন বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি অনুযায়ী সহায়তা স্থির করেছে। ভবিষ্যতেও এমনটা করা হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।</p>