<p>পাকিস্তানে ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় আদালতে খালাসের আবেদন করেছেন দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। গতকাল শনিবার দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। এ সময় মামলাটি থেকে খালাসের আবেদন করেন তিনি।</p> <p>এদিকে গত শুক্রবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট দুই বছর আগে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী অ্যাকাউন্টেবিলিটি আইনে করা সংশোধনী পুনর্বহাল করেছেন।</p> <p>গত বছরের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইমরান খানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্সের (এনএও) সংশোধনীগুলো বাতিল করেছিলেন।</p> <p>এর আগে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। গতকাল দুর্নীতিবিরোধী আদালতে ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, ‘অ্যাকাউন্টেবিলিটি আইনের সংশোধনী পুনর্বহালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পর ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলাটির আর কোনো বৈধতা থাকে না। কারণ মন্ত্রিসভার সব সিদ্ধান্ত ওই সংশোধনীতে রয়েছে।’</p> <p>আদালতে এনএবির কৌঁসুলি বলেন, ‘এখানে যে প্রশ্নটি উঠছে তা হলো অ্যাকাউন্টেবিলিটি আইনের সংশোধনীর পর মামলাটিতে দুর্নীতিবিরোধী আদালতের এখতিয়ার আছে কি না। যদি মামলাটিতে আদালতের এখতিয়ার থাকে, তাহলে খালাসের আবেদনের শুনানি হতে পারে।’</p> <p>এদিকে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার আইনজীবী বলেন, তাঁরা দুর্নীতিবিরোধী আদালতের এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করেননি। আদালতের এখতিয়ার নির্ধারণ করা আদালতেরই বিবেচনার বিষয়।</p> <p><span style="font-size:14px">সূত্র : জিও নিউজ, আলজাজিরা</span></p>