<p style="text-align:justify">প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোই কাসেমিরোর কাজ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বহু ম্যাচে সেই কাজটা করেছেনও ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">তবে আজ প্রতিরোধের বিপরীতে উল্টো চিত্রের জন্ম দিয়েছেন কাসেমিরো। তার দুই ভুলে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বড় ব্যবধানে হেরেছে ম্যানইউ। লিভারপুলের কাছে ৩-০ গোলের হারটি লিগে টানা দ্বিতীয় হার রেড ডেভিলসদের। সবশেষ ব্রাইটনের মাঠে ২-১ গোলে হারে ম্যানইউ। লিভারপুলের কাছে নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রীতি ম্যাচেও ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল কোচ এরিক টেন হাগের দল।</p> <p style="text-align:justify">লিভারপুলের জয়ে আজ অবদান রেখেছেন কাসেমিরো। আত্মঘাতী গোল অবশ্য করেননি তিনি। তবে প্রথমার্ধে করা তার দুই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের সুযোগটা দুর্দান্তভাবে কাজে লাগিয়েছেন লুইস দিয়াজ। অল রেডদের স্ট্রাইকারের ৩৫ মিনিটের গোলের সময় ভুল পাস দেন কাসেমিরো। তার সেই ভুল পাস লিভারপুলের কয়েকজন ফুটবলারের পা থেকে মোহাম্মদ সালাহ পেলে দিয়াজকে হেডের উদ্দেশে ক্রস করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। হেডে গোল করতে ভুল করেননি দিয়াজ।</p> <p style="text-align:justify">দ্বিতীয় গোলের সময় দিয়াজই বল কেড়ে নেন কাসেমিরোর কাছ থেকে। পরে সেই বল সালাহর উদ্দেশে বাড়ান তিনি। সালাহ ফিরতি পাস দিলে চলন্ত বলে শট নেন দিয়াজ। বাঁ পোস্ট বরাবর কোনোকুনি শট ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না ম্যানইউর গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে অবশ্য ৮ মিনিটেও এক গোল দিয়েছিল লিভারপুল। তবে ভিএআরে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ডের গোল বাতিল হয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলে বিরতিতে যায় দুই দল। ম্যানইউ প্রথম একটা সুযোগ পেয়েছিল ৪০ মিনিটে। তবে নৌসাইর মাজরাউইর শট ঠেকিয়ে দেন লিভারপুলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার।</p> <p style="text-align:justify">বিরতি শেষে নামার সময় কাসেমিরোকে মাঠ থেকে তুলে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুঃস্বপ্নের রাত পার করা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে তুলে নিলেও লাভ হয়নি রেড ডেভিলসদের। ব্যবধান কমানোর বিপরীতে যে তৃতীয় গোল হজম করে বসে তারা। ৫৬ মিনিটে এবার গোল করেন আগের দুই অ্যাসিস্টকারি সালাহ। অবশ্য সালাহর আগে ৫২ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ম্যানইউ। তবে লারকিং জিরকজির শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন। </p> <p style="text-align:justify">৭৮ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন জিরকজি। মার্কাস রাশফোর্ডের ক্রসে অবশ্য স্ল্যাইডটা ঠিক মতো জালে রাখতে পারেননি ডাচ ফরোয়ার্ড। আর কোনো গোল না হলে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় লিভারপুল। টানা তৃতীয় জয় কোচ আর্নেট স্লটের দলের।</p> <p style="text-align:justify">ওদিকে নিজ মাঠে হোঁচট খেয়েছে চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ব্লুজরা ১-১ গোলে ড্র করেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে। নিজ মাঠে শুরুটা প্রত্যাশিত ছিল চেলসির। খেলার পঁচিশতম মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এনজো মারেস্কার দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এবেরেচি এজের গোল এক পয়েন্ট এনে দিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেসে। লিগে তিন ম্যাচে একটিই জয় চেলসির। প্যালেসের সঙ্গে ড্র করার আগে তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটির কাছে।</p> <p style="text-align:justify">জিততে পারেনি টটেনহামও। নিজ মাঠে নিউক্যাসল ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্পার্সদের। সেন্ট জেমস পার্কে হার্ভে বার্নেস খেলার ৩৭ মিনিটে এগিয়ে দেন ম্যাগপাইদের। বিরতির পর সমতা ফেরায় স্পার্সরা। নিউক্যাসলের ড্যান বার্ন নিজেদের জালে বল জড়ালে স্কোর হয়েছিল ১-১। আত্মঘাতী গোলের বদান্যতায় সমতা আনলেও হারটা এড়াতে পারেনি টটেনহাম। ৭৮ মিনিটে আলেকজান্ডার আইজ্যাকের গোল পুরো তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে নিউক্যাসলকে। লিগে তিন ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় জয়, অন্যটি হয়েছিল ড্র। অন্যদিকে তিন ম্যাচে টটেনহামের প্রথম হার। অন্য দুই ম্যাচের একটি ড্র করে জিতেছিল তারা একটি।</p>