<p>১৯৫০-এর দশক। রুশ-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধ তখন তুঙ্গে। আর সব কিছুর মতো মহাকাশ জয় নিয়েও তাদের মধ্যে চলছিল তীব্র প্রতিযোগিতা। সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এক চমকপ্রদ পরিকল্পনা করেছিল। সেটা হলো, চাঁদে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো।</p> <p>কিন্তু কেন করা হয়েছিল এমন পরিকল্পনা?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদে বাতাস নেই কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732620497-5e13a2f4d8b06de66e213d5ac2de65a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদে বাতাস নেই কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/26/1450863" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মহাকাশ দৌড়ে এগিয়ে ছিল। ১৯৫৭ সালে তারা প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক ১ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। </p> <p>যুক্তরাষ্ট্র এতে বিব্রত বোধ করে। তাদের আশংকা ছিল, এই দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে তাঁরা। সুতরাং অভিনব কিছু করার পরিকল্পনা করতে হবে তাদের। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, পৃথিবীর কী হবে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732699347-469d8d236c4874b1012fa64192b4373d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, পৃথিবীর কী হবে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/27/1451217" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নিজেদের শক্তি ও সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রজেক্ট এ ১১৯ নামে একটি গোপন প্রকল্প হাতে নেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল চাঁদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো। </p> <p>কিন্তু শুধু শুধু চাঁদে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কী লাভ? </p> <p>তারা চাঁদে বোস্ফেরণ ঘটিয়ে অতি উজ্জ্বল আলোর ঝলক তৈরি করতে চেয়েছিল, যেন তা পৃথিবী থেকে খালি চোখেই দেখা যায়। আসলে এর মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ গোটা বিশ্বকে হতবাকও ও ভীত করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের কথা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/21/1732182689-a3ddddf41c9ebb48df80f10ea54cd790.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের কথা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/21/1449079" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই প্রকল্পে হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহারের ইচ্ছে ছিল যুক্ত্ররাষ্ট্রের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে  হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যে বোমা ব্যবহার করেছিল, তার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল এই বোমা। টার্মিনেটর লাইন নামে চাঁদের আলোকিত ও অন্ধকার অংশের সীমান্তে এই বোমা বিস্ফোরণের করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।</p> <p>বিখ্যাত পারমাণু বিজ্ঞানী লেনার্ড রাইফেল এ ১১৯ প্রকল্পে কাজ করেন। পারমাণবিক বোমার তাত্ত্বিক গুরু এনরিকো ফার্মির সঙ্গে একসময় কাজ করেছেন লেনার্ড। সুতরাং, এই প্রকল্পে তাঁকে যুক্ত করা হয়েছিল মেধার ভিত্তিতেই। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে বায়ুদূষণ বেশি হয় কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732083155-7e6166e60125f3ac714a7c9b0e4e2cb5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে বায়ুদূষণ বেশি হয় কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/20/1448672" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শেষমেশ এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। তবে এটা খুব গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরসঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া কাকপক্ষীও জানতে পারেনি। তবে ১৯৯০ দশকে বিখ্যাত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান একটা লেখায় এ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তারপরই বিশ্ববাসী এ বিষয়ে জানতে পারে।</p> <p>প্রশ্ন হলো, এতদূর এগিয়ে নেওয়ার পরও প্রকল্প কেন থেমে যায়? </p> <p> </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লেজার রশ্মি যেভাবে কাজ করে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1731998907-667906b9ae742461c3cb43cbc318b402.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লেজার রশ্মি যেভাবে কাজ করে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448300" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। গবেষকেরা হিসাব করে দেখেন, অ্যাটম বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে চাঁদের পরিবেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। </p> <p>সে সময় যুক্তরাষ্ট্র চাঁদে ভবিষ্যৎ মানব অভিযানের কথাও ভাবছিল। অ্যাটম বোমা বিস্ফোরণ করলে সেখানে মানব অভিযান অসম্ভব হয়ে যেত। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম ডট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732694576-db939d8455374149acea9cb219474527.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম ডট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/27/1451199" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ সময় তারা বিকল্প প্রকল্পটির ব্যাপারে বেশি মনোযোগ দেয়। তাঁরা পরিকল্পনা করে, চাঁদে মানুষ পাঠাবে এবং সে অভিযান সফল হলে সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোক্ষম জবাব দেওয়া সম্ভব হবে। বলাই বাহুল্য, ১৬৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে মোট ছয়টি অভিযানে ১২ জন মার্কিন নভোচারী চাঁদের বুকে পা রাখেন। এরপরে আক্ষরিক অর্থেই মহাকাশ গবেষণাং ‍যুক্তরাষ্ট্রের সোভিয়েত ইউনিয়নের নৈতিক পরাজয় হয়।</p> <p>সূত্র: বিবিসি</p>