<p>আলোককণা ঘুরতে পারে দুইভাবে। এক. আলোককণা যেদিকে ছুটছে, সেদিকেই ঘোরা। দুই. যেদিকে ছুটছে, তার উল্টো দিকে ঘোরা। তাই ৪-এর বদলে ৮ (২✕৪)। বসুর বিখ্যাত পেপারটি দেখার পর আইনস্টাইন তা পাল্টে দেন। স্যার আমাকে বললেন, ‘বুড়ো ওটা কেটে দিল।’ পরে আলোককণার স্পিন পরীক্ষায় ধরা পড়ে।</p> <p>আমি স্যারকে বললাম, ‘স্পিন ধরা পড়ার পরে কেন আপনি আইনস্টাইনকে বললেন না যে আপনিই ঠিক। তাহলে তো আলোককণার স্পিনের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আপনার কৃতিত্ব স্বীকৃত হতো।’ স্যার উত্তরে বললেন, ‘কে বার করেছে, তাতে কী যায়-আসে রে? বেরিয়েছে তো।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ৪" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/29/1732880461-40a3173f874c475b27b9f6b832f9a106.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম স্পিনের জনক কি সত্যেন বোস : পর্ব ৪</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/29/1451981" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আইনস্টাইন মহাবিজ্ঞানী তখন। তার কথার ওজন আলাদা। তাই পার্থ ঘোষ যে বলেছিলেন, ফুটনোটটিই সত্যেন বসুর দ্বিতীয় প্রবন্ধটিকে হত্যা করেছিল, এ যুক্তি ফেলে দেওয়া যায় না। </p> <p>পার্থ ঘোষ বলেন, ‘একজন রেফারি যখন একটা প্রবন্ধ রিভিউ করেন, তার মন্তব্য জুড়ে দেন তাতে। সেই মন্তব্য আবার প্রবন্ধের মূল লেখকের কাছে পাঠানো হয়। তিনি যদি রেফারির মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন এবং রেফারির নির্দেশমতো কারেকশন করেন, তবেই প্রবন্ধটা ছাপা হয়। না হলে হয় না। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম অপটিকস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732776790-210aae6c19a67a37f8b2363e9e21f5c7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম অপটিকস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/28/1451555" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু ‘সাইটস্রিফট ফ্যুর ফিজিক’ রেফারি, অর্থাৎ আইনস্টাইনের ফুটনোটটি সত্যেন বসুকে না দেখিয়েই ছেপেছিল। এখানেই আপত্তি পার্থ ঘোষের। </p> <p>এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আজ কোনো জার্নাল এ রকম ঘটতে দেবে না। পেপার যাদের পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়, তাদের মন্তব্য এলে সেসব পাঠানো হয় লেখককে। লেখক যদি মন্তব্যের কোনো সদুত্তর দিতে না পারেন, তাহলে সে পেপার ছাপাই হয় না। রেফারিদের ও রকম বিরূপ মন্তব্য সহযোগে কোনো পেপার এখন ছাপার রীতি নেই।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731740489-237b5a38c3496a6d76baec8333a0032e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447221" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, আইনস্টাইন এই পেপারের রেফারি ছিলেন না। ছিলেন সুপারিশকারী। ভুলে গেলে চলবে না, তার একটা ফুটনোটের কারণেই সত্যেন বসুর প্রথম পেপারটি আলোর মুখ দেখেছিল। সুতরাং আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানীর মতামতকে রেফারির মধ্যে মন্তব্য হিসেবে দেখেননি জার্নালের সম্পাদকরা। তা ছাড়া সত্যেন বসুকে তারা চিনতেন বলেও মনে হয় না; বরং আইনস্টাইনই সেটার প্রেরক, সেটা সম্পর্কে তার মতকেই শেষ কথা বলে ধরে নিয়েছিলেন। </p> <p>আর সেকালে রেফারি বা রিভিউ সিস্টেমটা চালু ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। জার্মানি বা ইউরোপিয়ান জার্নালগুলোতে তখনো এই ধারা চালু হয়নি। তাই জার্নালের সম্পাদকের কাজটাকে কিছুতেই পক্ষপাতিত্বমূলক বলার উপায় নেই। আইনস্টাইনের ফুটনোটটাকে অগ্রাহ্য করার উপায়ও ছিল না সম্পাদক মহাশয়ের।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম টানেলিং" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/31/1730358052-32c368d28afa9a21e2e9800885c04fd1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম টানেলিং</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/31/1441135" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আসলেই কী লেখা ছিল সত্যেন বসুর লেখা মূল পেপারটিতে। মূল পেপারের কথা উঠছে এ কারণে, আইনস্টাইন জার্নালে পাঠানোর আগে সেটাতে ছুরি-কাঁচি চালিয়েছিলেন। একমাত্র বসুর মূল পেপারটি পাওয়া গেলেই সেটা নিশ্চিত হওয়া যেত। </p> <p>বোসের নিজের কাছে মূল পেপারের কপি ছিল না। আবার আইনস্টাইনের বেশির ভাগ পেপার খুঁজে বের করে সেগুলো ইসরায়েলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে বোসের দ্বিতীয় পেপারটি পাওয়া যায়নি। ব্যাপারটা দুঃখজনক।<br /> প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার পর জার্নালের কপি সত্যেন বসুকে পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয়েছিল আইনস্টাইনের কাছে। সত্যেন বসু পরে যখন ইউরোপে যান গবেষণার জন্য, তখন আইনস্টাইনের কাছ থেকে পান সেই কপি।</p> <p>চলবে...</p>