<p>প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এর বঙ্গোপসাগরে দেখা দিয়েছে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ‘দানা’ নামে আবির্ভূত হয়েছে। </p> <p>নামটি ইরানের দেওয়া। ফারসি ‘দানা’ অর্থ জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান বা জ্ঞানী কিংবা ‘মূল্যবান মুক্তা’। <br /> এর আগের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল তালিকা অনুযায়ী রিমালের পর আসবে ‘আসনা’। সেটার নামকরণ করেছিল পাকিস্তান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দুধের শিশুরা কি স্বপ্ন দেখে? কী বলছে বিজ্ঞান?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729595128-f62b3e01fdb7137cf6d8a76452cdf3b5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দুধের শিশুরা কি স্বপ্ন দেখে? কী বলছে বিজ্ঞান?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/22/1437923" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই হিসেবে পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ফেনগল। এটা চীনের প্রস্তাবিত নাম। <br /> দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের জন্য ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামের তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় কলাম চলছে।</p> <p>এই তালিকা ১৩টি দেশের নামের প্রস্তাব নিয়ে গঠিত হয়। দ্বিতীয় কলাম শেষ হলে তৃতীয় কলাম শুরু হবে। কলামের প্রথম নাম বাংলাদেশের। বাংলাদেশের দেওয়া সর্বশেষ নামটি ছিল ‘বিপর্যয়’। পরের নামটি ‘অর্ণব', তৃতীয় কলাম শুরু হলে আসবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মঙ্গল গ্রহে কিউরিওসিটির নতুন আবিষ্কার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729581765-260d361d7908f5de289f5ea5a068f5c2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মঙ্গল গ্রহে কিউরিওসিটির নতুন আবিষ্কার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/22/1437858" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ইতিকথা</strong><br /> বেশিদিন আগে নয়, শুরুটা হয় ১৯৫৩ সালে। আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর মায়ামির জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার আটলান্টিক অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য প্রস্তাব দেয়। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের একটি ইউনিট ওয়ার্ল্ড মিটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়।</p> <p>ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল ওয়েদার অর্গানাইজেশন এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ২০০০ সালে এর সদস্য দেশগুলোর পরামর্শ নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নাম প্রস্তুত করার কাজ শুরু করে— বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ওমান, পাকিস্তানের মতো আরো ১২টি দেশকে সঙ্গে নিয়ে। শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্যানেলের অংশ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়—তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলো নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নামকরণ করে থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729336182-14939ae5ea7393c2c3d87500dc254a36.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/19/1436800" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নামকরণের এই সামগ্রিক বিষয়টা নিয়ন্ত্রিত হয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডাব্লিউএমও) মাধ্যমে। ২০০৪ সালে আটটি দেশ আটটি করে মোট ৮৪টি নাম দেয়। সেখানে প্রথম নামটি ছিল বাংলাদেশের (অনিল)। নামের ক্রম আসে দেশের ক্রম অনুযায়ী। অর্থাৎ দেশের নামের ইংরেজি বর্ণনানুক্রমে একটি করে দেশের নাম নির্ধারিত হয় আগত ঘূর্ণিঝড়ের নাম।</p> <p>২০২০ সালে মোট ১৩টি দেশ ১৩টি করে মোট ১৬৯টি নাম দেয়। ১৩টি দেশ হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন। ডাব্লিউএমওর ভারতীয় উপমহাদেশের এই সদস্য দেশগুলোই নাম দেয়।</p> <p><strong>কেন ঝড়ের নাম দিতেই হবে?</strong><br /> ঝড়ের নাম দেওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এদের মাঝে অন্যতম হলো- এটা ঝড়ের অঞ্চলে বসবাস করেন যারা তাদের সতর্ক করে দিতে সহজ হয়। তা ছাড়া ঝড়ের নাম দেওয়া হলে, কোন ঝড়ে কেমন ক্ষতি হয়েছে বা কোনো গবেষণার প্রয়োজনে তথ্য ঘাঁটতে সুবিধা হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে কী করবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729579610-8bba30b94853ad3111864e076b88b3e1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে কী করবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/22/1437849" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>বেশির ভাগ নামগুলোই নারীদের নামে কেন?</strong><br /> বিশ শতকের মাঝের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে মেয়েদের নাম বেশি ব্যবহৃত হতো। এ ক্ষেত্রে আবহাওয়াবিদদের যুক্তি ছিল, মেয়েদের নামগুলো মানুষ সহজে মনে রাখতে পারবেন। সে জন্যই নার্গিস, রেশমি, রিটা, বিজলি, নিশা, গিরি, হেলেন, চপলা, অক্ষি, লুবান, তিতলি, নিলুফার, ক্যাটরিনাসহ অনেকগুলো ভয়ংকর ঝড়ের নাম অমর হয়ে আছে। যেগুলো নারীদের নামেই রাখা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক শর্ত দেওয়া হয়—নামগুলো লিঙ্গনিরপেক্ষ হবে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কিডনি ভালো রাখার দশ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729421242-61ef45ab155a998f04a26287825ea85b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কিডনি ভালো রাখার ১০ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/20/1437163" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>নাম দেওয়ার আছে কিছু শর্ত</strong><br /> একই নাম বারবার দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ নামের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আদর্শে আঘাত হানতে পারে—এমন নাম দেওয়া যাবে না। নামটি হতে হবে লিঙ্গনিরপেক্ষ। বিশ্বের কোনো জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগে যেন আঘাত না করে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখা চাই। নামের মাধ্যমে কোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা, রুক্ষ ভাষা বা নির্মমতা প্রকাশ পাবে না। নামের উচ্চারণ হবে সহজ। নাম হবে সর্বোচ্চ আটটি বর্ণে। সাথে থাকতে হবে উচ্চারণ নির্দেশিকা। আবহাওয়াসংক্রান্ত বৈঠকে আলোচনার পর নামের তালিকা চূড়ান্ত করতে হবে।</p> <p>এসব শর্ত পূরণ করলেই চূড়ান্ত হয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম।</p> <p>সূত্র : <br /> ১. Tropical Cyclone Naming/World Meteorological Organization,</p> <p>২. বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (https://bmd.gov.bd/)</p>