<p><br /> <strong>১. সাইকোপ্যাথ মানেই আবেগহীন যন্ত্র কিংবা রোবট-মানব</strong></p> <p>উত্তর: আগের অধ্যায়েই সাইকোপ্যাথদের আবেগের আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করেছি। সাইকোপ্যাথ রোবট-মানব–উক্তিটি মিথ। তাদের বিদ্বেষ, ক্ষোভ, সাধারণের থেকে ব্যতিক্রমধর্মী আনন্দের অনুভূতি রয়েছে। তবে লিম্বিক সিস্টেমের অস্বাভাবিকতার কারণে তাদের ভয়, শঙ্কা, দুশ্চিন্তা নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের আগ্রাসী মনোভাব আছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাইকোপ্যাথদের জিনগত ত্রুটি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/19/1724063656-da1e8b25e7b9760003e834ee7dcd78e0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাইকোপ্যাথদের জিনগত ত্রুটি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/08/19/1416546" target="_blank"> </a></div> </div> <p> <br /> <strong>২. নীতিকথা বা নীতিশাস্ত্রের অর্থ সাইকোপ্যাথ কিংবা সোশিওপ্যাথেরা কখনো বোঝে না।</strong></p> <p>উত্তর: নীতি-নৈতিকতা সোশ্যাল কগনিশনের অংশ। সমাজ-রাষ্ট্রভেদে নীতি–নৈতিকতার সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়।</p> <p>সাইকোপ্যাথদের মস্তিষ্কের সুপিরিয়র টেম্পোরাল জাইরাস অংশটি সঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে সামাজিক নিয়মনীতি মেনে চলা বা আইন পালন করার মতো বাধ্যবাধকতাগুলোর সাথে তারা খাপ খাওয়াতে পারে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথ চেনার উপায় : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/14/1723636663-25948f21d8ce1b44ad59886810690331.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাইকোপ্যাথ এবং সোশিওপ্যাথ চেনার উপায় : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/08/14/1414922" target="_blank"> </a></div> </div> <p> <br /> <strong>৩. সাইকোপ্যাথি এবং সোশিওপ্যাথি ভয়ানক মানসিক রোগ।</strong></p> <p>উত্তর: এটি একটি মিথ। DSM-5 এ সাইকোপ্যাথি এবং সোশিওপ্যাথি শব্দের বদলে অ্যান্টি-সোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারকে পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। আর জেনেটিক, নিউরোবায়োলজিক্যাল এবং পরিবেশের মিথস্ক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে না। তাই সাইকোপ্যাথি এবং সোশিওপ্যাথি মানেই ভয়ানক মানসিক রোগ নয়।</p> <p><strong>৪. রূপ সচেতন সব মেয়েই নার্সিসিস্ট।</strong></p> <p>উত্তর: এটি একটি মিথ। নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি সময় ধরে DSM-5 প্রণীত আটটি ক্রাইটেরিয়া মধ্যে অন্তত পাঁচটি উপস্থিত থাকতে হবে। রূপসচেতনতা হেলদি গেলফ লাভের অন্তর্গত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নার্সিসিস্টিক রোগীদের নির্যাতন: রুখে দাঁড়ানোর উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/03/1722683462-58ac3db4063862880b9e9bb3c3fa103c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নার্সিসিস্টিক রোগীদের নির্যাতন: রুখে দাঁড়ানোর উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/08/03/1411365" target="_blank"> </a></div> </div> <p> <br /> <strong>৫. পৃথিবীতে ছেলেদের থেকে মেয়েদের নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হবার পরিমাণ বেশি।</strong></p> <p>উত্তর: এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। NPD আক্রান্ত রোগীর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীর থেকে অনেক বেশি।</p> <p>লেখক: চিকিৎসক ও কথা সাহিত্যিক</p> <p></p>