<p>পূর্ণ ছয় মাস বয়স পর্যন্ত (১৮০তম জন্ম দিবস) শিশু শুধু মায়ের দুধ পান করবে। অন্য কোনো খাবার বা পানি খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। শিশু কখন থেকে শক্ত খাবার খাবে, সেটা নিয়ে কয়েকটি পরামর্শ—</p> <p>* ১৮১তম দিবস থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার দেওয়া চাই। কেননা এ সময় থেকে তার জন্য বাড়তি ক্যালরি দরকার। এ বয়সে শিশু বিকাশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আছে। যেমন : বসতে পারা ও মাথা সোজা করে ধরে রাখতে পারা, যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়</p> <p>* গবেষণায় দেখা যায়—এই বয়সের আগে শিশুকে বুকের দুধ ব্যতিরেকে অন্য খাবার দেওয়া হলে সে ‘ফুড অ্যালার্জি’ এবং বেশি খাওয়াজনিত স্থূলদেহী হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে</p> <p>* একটা শিশু তখন থেকে শক্ত খাবার গ্রহণে সমর্থ থাকে যখন—</p> <p>* তার ওজন জন্ম ওজনের দ্বিগুণ হয়, যা প্রায় ১৩ পাউন্ডের মতো</p> <p>* প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর সে খাবার গ্রহণে আগ্রহী থাকে </p> <p>* এ বয়সে শিশুকে বেশি জুস না খাওয়ানো উচিত (দুই আউন্সের বেশি না)। তাতে ডায়রিয়া ও গ্রোথ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে চার আউন্স পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়</p> <p>* জুসে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দেহের জন্য আয়রন শোষণে সাহায্য করে</p> <p>* প্রথম দিকের খাবার খিচুড়ি, কলা, গাজর, ফলমূল শাক-সবজি দিয়ে শুরু করা যায়। ডিম, দুধ, গমজাতীয় খাবার এ সময়ে না থাকা উচিত</p> <p>* শিশুর দৈনন্দিন খাবারের মেন্যুতে সপ্তাহে এক বা দুইটার বেশি নতুন খাবার না থাকা ভালো, তাতে করে কোন খাবার সে সহ্য করতে পারছে, বা পারছে না তা বোঝা যায়</p> <p>* ছয় মাসের বয়সের পর থেকে খাবারের তালিকায় ‘মাংস’ যুক্ত করা যায়</p> <p>* ৯ মাস বয়স থেকে শিশু নিজ আঙুলে ধরে নিজ খাবার নিতে পারে। ৬-৯ মাস বয়সে শিশুকে দ্বিতীয় পর্বের খাবার দেওয়া যায় (মিশ্র দানাদার খাবার) যেমন—ডাল-ভাত, শাক-সবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস এসব</p> <p>* শিশুকে ১২ মাস বয়সের পর থেকে গাভির দুধ দেওয়া যেতে পারে, আর তা ‘ডি’ ভিটামিন যুক্ত হলে উত্তম।</p> <p> </p> <p><em>প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</em></p> <p><em>সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ</em></p> <p><em>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</em><br />  </p>