<p style="text-align:justify">দেশে ধান, গম, ভুট্টা ও আলুর কী পরিমাণ উৎপাদন হয়, তার কিছু হিসাব দেয় সরকারি সংস্থাগুলো। কিন্তু গৃহপালিত পশুপাখিদের পেছনে এসব উৎপাদিত ফসলের কী পরিমাণ ব্যয় হয়, তারা কী পরিমাণ ভোগ, করে তা নিয়ে জরিপ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি টাকা। এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটির প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা (পিইসি) হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতাদের ড. ইউনূসের আহ্বান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/25/1727234709-b435670e4a1c72b0f8dcf2b8408a5da3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতাদের ড. ইউনূসের আহ্বান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/25/1428719" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><img alt="গরু-ছাগল কত ধান-গম খায় জরিপ করবে বিবিএস" height="240" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727200335-4066742735cb6fe2b5bde5fd2a175aae.jpg" style="float:left" width="400" />প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধান-চাল, গম, ভুট্টা ও আলু ফসলের মধ্যে নন-হিউম্যান কনজাম্পশন হিসেবে ওই খাদ্যশস্যের ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ করা এবং ফসলের ক্ষতি ও খাদ্যের অপচয় তথ্য প্রস্তুত ও প্রকাশ করা।</p> <p style="text-align:justify">প্রকল্প নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবনায় বলা হয়, বর্তমানে ক্ষুধা নিবারণ ও পুষ্টি নিশ্চিত করা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে খাদ্যশস্যের ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপকভাবে। সহজলভ্যতা এবং সহজ প্রবেশাধিকারের কারণে ফসলের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন অর্থাৎ মৎস্য ও প্রাণিখাদ্য হিসেবে ধান-চাল, গম ও ভুট্টা ব্যবহৃত হয়। কিন্তু খাদ্যশস্যের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কোনো জরিপ অদ্যাবধি করা হয়নি।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া খাদ্য অপচয়, বর্জ্য, পরিবহন ও বিপণন ক্ষতি এবং প্রক্রিয়াকরণসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জরিপও করা হয়নি। খাদ্যশস্যের চাহিদা, জোগান, সহজলভ্যতা, ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে জাতীয় হিসাব প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে সঠিক তথ্য থাকা অত্যাবশ্যক। সে পরিপ্রেক্ষিতে ফসলের তথা খাদ্যশস্যের নন-হিউম্যান কনজাম্পশন, খাদ্য অপচয়, বর্জ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার লক্ষ্যে জরিপ পরিচালনার এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ১৯৯ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/25/1727234078-b46e6f3c63af294d142531084556b27f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন করে ১৯৯ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/25/1428718" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার উৎপাদন বেড়ে ৫৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার হয়েছে। হাঁস ও মুরগির উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৩৯৬ কোটি। এসব প্রাণিসম্পদ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬.৩৩ শতাংশ। প্রাণিসম্পদের মোট বাজারমূল্য ৮২ হাজার কোটি টাকার বেশি।</p> <p style="text-align:justify">খামারিরা জানিয়েছেন, পশু পালনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খাদ্যের উচ্চমূল্য। গোখাদ্য উপকরণের একটি বড় অংশই আমদানিনির্ভর। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন গম ও সয়াবিন, দুটিই আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম গত বছর বাড়তি থাকলেও এখন তা অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আমদানিকারকদের উচ্চ মুনাফা প্রবৃত্তির কারণে দেশে গোখাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/25/1727243329-34bca1be60cafab9d229673e9e70b9be.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Islamic-lifestylie/2024/09/25/1428741" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক আনোয়ার পারভেজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ রকম জরিপে যদি আমাদের ফসলের অপচয় চিহ্নিত করা যায় এবং রোধ করা যায়, তাহলে ভালো হবে। যদিও বাংলাদেশে অপচয় তেমন হয় না, এর পরও প্রায়োরিটি হিসাব করা যেতে পারে। আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করে ভাত কম খেয়ে সেটি প্রাণীকে খাওয়ালাম। ওই রকম সোর্সে আমরা বেশি যেতে পারি।’</p>