<p>মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করা তরুণের গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন এবং আশঙ্কামুক্ত।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওই ব্যক্তির মৃত্যুসংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।</p> <p>আইএসপিআর বলেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর জনৈক শ্রী উৎসব (২২) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায় স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে খুলনা নগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মহানবীকে কটূক্তি : খুলনায় গণপিটুনিতে কলেজছাত্র চিকিৎসাধীন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/05/1725530983-3515677305470cf338711821a36cddad.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মহানবীকে কটূক্তি : খুলনায় গণপিটুনিতে কলেজছাত্র চিকিৎসাধীন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/09/05/1422374" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পরে ওই স্থানে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং ওই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে আন্দোলন করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।  </p> <p>এ সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ চালায়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত।</p> <p>আইএসপিআর জানায়, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং তার সুস্থতা সাপেক্ষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিকট তাকে হস্তান্তর করা হবে।</p> <p>আইএসপিআর আরো বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সর্বদা সচেষ্ট।</p>