<p>ফিনল্যান্ড দুটি জায়ান্ট পান্ডা চীনে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৮ সালে পান্ডা দুটি চীনের কাছ থেকে পেয়েছিল ফিনল্যান্ড। এত দিন ফিনল্যান্ডের যে চিড়িয়াখানায় পান্ডা দুটি ছিল, তারা আর পান্ডা রাখার ব্যয় বহন করতে পারছে না। গত মঙ্গলবার চিড়িয়াখানার পরিচালক এই তথ্য জানিয়েছেন।</p> <p>চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ফিনল্যান্ড সফরে গিয়ে যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক মাস পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে লুমি ও পাইরি নামের দুটি পান্ডা পাঠানো হয়েছিল।</p> <p>বাণিজ্যিক সম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে ১৯৪৯ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানায় পান্ডা পাঠায় চীন। উপহার হিসেবে পান্ডা পাঠানোর পেছনে পররাষ্ট্র সম্পর্ক বাড়ানোর ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রবল ইচ্ছা বেইজিংয়ের।</p> <p>ফিনল্যান্ডের আহতারি চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ওই দুটি পান্ডা রয়েছে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে চীনের ১৫ বছরের করা বাণিজ্যিক চুক্তির এখনো আট বছরের বেশি বাকি। তবে শিগগিরই পান্ডা ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।<br /> পান্ডা দুটি রাখার ব্যবস্থা করতে বেসরকারি একটি কম্পানি ওই চিড়িয়াখানায় ৯০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে। পান্ডা দুটির কারণে বার্ষিক ১৫ লাখ ইউরোর বেশি খরচ হয় সেখানে।</p> <p>চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ধারণা ছিল, ফিনল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের দর্শকদের আকর্ষণ করবে পান্ডাগুলো। তবে গত বছর পান্ডা রেখে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে চিড়িয়াখানা। এর আগে করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যেও দর্শনার্থী না থাকায় বেকার পান্ডার পেছনে কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করতে হয়েছে। এসব কারণে পান্ডা দুটি চীনে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।</p> <p>খরচের কারণেই পান্ডা ফেরতের এই সিদ্ধান্ত বলে চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।</p> <p>গত বছর ফিনল্যান্ড সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পান্ডার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। গত তিন বছর থেকে প্রাণীগুলো ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অবশেষে চীন পান্ডা দুটি ফেরত নিতে রাজি হয়েছে।</p> <p>ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে ফিনল্যান্ড সরকারের সম্পৃক্ততা নেই। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা প্রভাব পড়া ঠিক হবে না।</p> <p>হেলসিংকিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই পান্ডা ফেরতের বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র : সিএনএন</p>