<p style="text-align:justify">আজকালকার বাচ্চাদের মধ্যে অনেকেরই চোখে চশমা দেখা যায়। বছর বছর তাদের চশমার পাওয়ারও বাড়তে থাকে। আর সেই দৃশ্য দেখে হার্টবিট বাড়ে মা-বাবার। তবে এ নিয়ে ঘাবড়ে গিয়ে লাভ নেই। বরং যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সবার প্রথমে সন্তানকে টিভি ও মোবাইল থেকে দূরে থাকতে বলুন। তার পাশাপাশি বাচ্চার ডায়েটে জায়গা করে দিন কিছু উপকারী ফল। এর ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজটা কিছু কমবে।</p> <p style="text-align:justify">সন্তানকে কী ফল খাওয়ালে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়তে পারে, সে উত্তর জানতে পড়তে হবে আজকের প্রতিবেদন। তাহলে জেনে নিন সন্তানের খা ডায়েটে কী কী ফল জায়গা দেবেন।</p> <p style="text-align:justify"><strong>লেবু</strong></p> <p style="text-align:justify">যেকোনো ধরনের লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। শুধু তা-ই নয়, চোখে থাকা রক্তনালির স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজেও এই ভিটামিনের জুড়ি বেশ। ফলে সন্তানের চোখের জ্যোতি বাড়ে। আর সেই কারণেই বাচ্চাদের নিয়মিত লেবু খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ঝটপট তাদের ডায়েটে লেবুজাতীয় ফল যোগ করুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাচ্চাদেরও কি মানসিক সমস্যা হতে পারে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/31/1722432199-b6ffaf97e83be524081305707324c4af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাচ্চাদেরও কি মানসিক সমস্যা হতে পারে?</p> </div> </div> </div> <p> </p> <p><strong style="text-align:justify">যেকোনো ধরনের বেরি</strong></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">স্ট্রবেরি, ক্র্যানবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো ফলগুলো সুপারফুড ছাড়া কম কিছু নয়। কারণ এগুলোতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। আর এসব উপাদান চোখের হাল ফেরানোর কাজে একাই এক শ। শুধু তা-ই নয়, এসব ফলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে চোখে প্রদাহ কমে। সেই সঙ্গে হ্রাস পায় ড্রাই আইজের মতো জটিল সমস্যা। এর পাশাপাশি নিয়মিত বেরিজাতীয় ফল খেলে চোখের প্রেশারও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। তবে প্রতিদিন বেরিজাতীয় ফল একবারেই খাবেন না।</p> <p style="text-align:justify"><strong>কলা</strong></p> <p style="text-align:justify">কলাতে থাকা পটাশিয়ামের ভাণ্ডার ছোটদের ড্রাই আইজের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এই ফলে থাকা ভিটামিন-এ চোখের জ্যোতি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়া কলা শরীরের এনার্জির ঘাটতিও মেটাতে পারে। তাই সন্তানের প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফল থাকা বাধ্যতামূলক। তাতেই তার চোখের পাশাপাশি শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে। দূরে থাকবে একাধিক জটিল অসুখ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শিশু কিছুই খায় না, বাড়ছেও কম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/21/1724216641-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শিশু কিছুই খায় না, বাড়ছেও কম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/prescription/2024/08/21/1417161" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>আম</strong></p> <p style="text-align:justify">গরম কমে গেলেও বাজারে এখনো আমের দেখা পাওয়া যায়। আর এই ফল শরীরের জন্য সেরার সেরা। ছোটদের চোখের হাল ফেরাতে পারে এই ফল। কারণ এতে রয়েছে জিয়াজ্যানথিন ও লিউটিন। এই দুই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখে। দূরে রাখে একাধিক জটিল রোগ। তাই আপনার সন্তানের প্রতিদিনের ডায়েটে যত দিন পারবেন একটি করে আম রেখে দিন। তাতেই অনেক উপকার পাওয়া যাবে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>পাকা পেঁপে</strong></p> <p style="text-align:justify">আপনার সন্তান যদি পাকা পেঁপে খেতে পছন্দ করে তাহলে ঝটপট তার প্রতিদিনের খাবারে পাকা পেঁপে যোগ করুন। এই ফলে থাকা ভিটামিন-এ চোখের জ্যোতি বাড়ায়। সেই সঙ্গে এতে মজুদ বিভিন্ন অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে অক্ষিগোলকের একাধিক রোগও এড়িয়ে চলা যায়। তাই ছোট বাচ্চাদের নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়ান।</p> <p style="text-align:justify">তবে শুধু খাবার খাওয়ালেই সমস্যা কমবে না। তার পাশাপাশি তাকে নিয়মিত চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার যেসব পরামর্শ দেবেন, সেগুলো মেনে চলবেন।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র : এই সময়</p>