<p>গত বছরের প্রশংসিত ডকুমেন্টারি সিনেমা ‘কিস দ্য ফিউচার’-কে অস্কারের দৌড় থেকে বাতিল করেছে অস্কার কর্তৃপক্ষ। একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স জানিয়েছে, সিনেমাটি নিয়ম মেনে জমা দেওয়া হয়নি। আর এমন সিদ্ধান্তে বেশ ক্ষিপ্ত সিনেমাটির দুই প্রযোজক জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক বেন আফ্লেক ও ম্যাট ড্যামন। তাদের দাবি, একাডেমি যে রুলের ওপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা যথাযথ নয়।</p> <p>বিনোদন গণমাধ্যম ডেডলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়ার পর ভালো সফলতা দেখালেও অস্কার প্রতিযোগিতায় ফিচার ফিল্মটিকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কারণ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে চলা নিয়ে অস্কার কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তা ছাড়া আরো কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। অস্কারের জন্য জমা দেওয়া সিনেমাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্টসংখ্যক সিনেমা হলে নির্দিষ্ট সময় ধরে চলতে হয়। কিন্তু একাডেমির ভাষ্য অনুযায়ী, কিস দ্য ফিউচার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম সময় চলেছে। ফলে এটাকে যাচাই-বাছাইয়ের প্রাথমিক পর্যায়েই বাতিল করা হয়েছে। </p> <p>আর এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রযোজক বেন আফ্লেক, ম্যাট ড্যামন ও সারাহ অ্যান্থনি। তাদের দাবি, সিনেমাটি ১৩৯টি এএমসি প্রেক্ষাগৃহে চলেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো ও আটলান্টার মতো শহরগুলোয় ভালোমতো চলাই অস্কারের জন্য যোগ্য বলে গণ্য করার জন্য যথেষ্ট। একাডেমির দাবি, কিস দ্য ফিউচারের মাত্র দুটি শো চলেছে দিনে। অথচ অস্কারের শর্ত ন্যূনতম তিনটি শো চলতে হবে। অস্কারের নীতিমালায় ১২তম দফায় এটি উল্লেখ রয়েছে। ফলে প্রযোজকরা যখন আপিল করেছেন, সে আপিলকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।</p> <p>এদিকে সিনেমাটি বাতিল করায় ভক্তদের অনেকেই অস্কারের নীতিমালা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করছেন। তাদের দাবি, গাইডলাইনের কোথাও এটা লেখা নেই যে দিনে তিনটি শো চলতেই হবে। যদি শহরের সব কয়টা সিনেমা হলকে গুনতিতে ধরা হয়, তাহলে শর্তে উল্লেখ থাকার চেয়েও বেশি শো চলেছে এ সিনেমার। ফলে এটা অস্কারের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। </p> <p>‘কিস দ্য ফিউচার’ পরিচালনা করেছেন নিনাদ সিসিন-সাইন। গল্পে ১৯৯০ সালের সারায়েভো অবরোধের কথা বলা হয়েছে। সিনেমাটি বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়। পরবর্তী সময়ে প্রদর্শিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাইবেকা ফেস্টিভ্যালে। পিস অ্যাওয়ার্ডের জন্য এটি মনোনয়ন পায়, সারায়েভো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পায় অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড।</p>