<p>‘ও আমার বন্ধু গো চিরসাথী পথচলার’ গানটি গাইতে গাইতে মঞ্চে ওঠেন তিনি। এরপর একে একে চারটি গান গেয়ে দর্শকদের বিস্মিত করে দেন। কারণ, এমন রূপে নায়িকা মৌসুমীকে দেখেনি আগে কেউ। নায়িকা থেকে গায়িকা হয়েও দর্শকদের মাঝে আলোড়ন ফেললেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী।</p> <p>দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখানেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে নানা ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সেখানে গান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন মৌসুমী। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলোর আলেকজান্ডার অ্যাভিনিউতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘সামার অ্যান্ড ফেস্টিভ্যাল’। এ আয়োজনে নানা ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১০টায় মঞ্চে ওঠেন মৌসুমী। এরপর ১৯৯৩ সালের সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত মৌসুমী সালমান শাহ অভিনীত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার ‘ও আমার বন্ধু গো চিরসাথী পথচলার’ গানটি গাইতে গাইতে মঞ্চে ওঠেন তিনি। এর আগে কোনো অনুষ্ঠানে এভাবে নিজের অভিনীত সিনেমার গান গাইতে গাইতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠতে দেখা যায়নি মৌসুমীকে। যে কারণে উপস্থিত দর্শকরা চিত্রনায়িকার মঞ্চে এমন প্রত্যাবর্তনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। </p> <p>এরপর মৌসুমী তার অভিনীত শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘অন্তরে অন্তরে’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘এখানে দুজনে নিরজনে’ গেয়ে শোনান। এরপর আবারও মৌসুমী তার অভিনীত প্রথম সিনেমার ‘এখন তো সময় ভালোবাসার’ গানটি গান। সেই সময় তিনি সেখানে উপস্থিত আরেকজন নন্দিত সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীকে মঞ্চে ডেকে নেন। তখন উপস্থিত দর্শকের মধ্যে যেন উচ্ছ্বাস আরো ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মৌসুমীর পারফরম্যান্স শেষে মঞ্চে গাইতে শুরু করেন মুন্নী। তিনি তার মৌলিক গান ‘ও প্রিয় আমি তোমার হতে চাই’ দিয়ে তার পর্ব শুরু করেন। একে একে তিনি তার বেশ কয়েকটি মৌলিক গান, চট্টগ্রাম ও সিলেটের আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন।</p> <p>আয়োজন নিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আয়োজকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এত চমৎকার একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এবং সেখানে আমাকেও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ভিন্ন ধরনের আয়োজনে এবারই প্রথম আমি অংশগ্রহণ করেছি, পারফর্ম করেছি, নিজে গান গেয়েছি। বিষয়টা আমার কাছে সত্যিই অন্যরকম ভালো লেগেছে। আমার কণ্ঠে গান শুনে সবার মধ্যে যে উচ্ছ্বাস দেখেছি, সেটা আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করেছে। আর সঙ্গে মুন্নী থাকায় আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে। আশা করি, আবারও সবার সঙ্গে দেখা হবে আরো কোনো বর্ণাঢ্য সুন্দর আয়োজনে।’</p> <p>এরপর মৌসুমী আবারও মঞ্চে আসেন। তারপর মুন্নী গাইতে শুরু করেন ‘খাইরুন লো তোর লম্বা মাথার কেশ’। মুন্নীর গানে মৌসুমীর অনবদ্য পারফরম্যান্সও দর্শকরা লুফে নেন। রাত ১২টা পর্যন্ত মৌসুমী ও মুন্নীর পরিবেশনা ভীষণ মুগ্ধতা নিয়ে উপভোগ করেন দর্শক।</p>