<p>মাহিয়া মাহি রাজনীতিতে মেতেছিলেন কিছুদিন। তবে ভোটে হেরে গিয়েছেন এই নায়িকা। তারপর আবার ফিরেছেন রাজনীতিতে। এবার পড়েছেন আরেক বিপদে।</p> <p>স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বিপাকে পড়তে পারেন এই তারকা। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এখনো কালো তালিকায় পড়েননি ‘অগ্নি’খ্যাত এ তারকা। ইতোমধ্যে বিদেশ ঘুরে দেশে ফিরেছেন।</p> <p>সম্প্রতি বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন মাহি। সেখানে এই নায়িকাকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষায় রেখে বিশেষভাবে চেক করা হয় নথিপত্র। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন মাহি।</p> <p>ওই ভিডিওতে মাহি বলেন, ‘এক থেকে দেড় ঘণ্টা হবে, আমি জাস্ট বসেছিলাম। কারণ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হতে চাইছিল আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কি না। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করার পরই ফ্লাই করতে পেরেছি।’</p> <p>বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে তার নাম না থাকলেও মাহির কপালে আছে চিন্তার ভাঁজ। তবে সেটা অন্য বিষয় নিয়ে</p> <p>নায়িকার বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরনো একটি ফেসবুক পেজ। যার নিয়ন্ত্রণ অন্য কারোর হাতে। তা-ও আবার ভেরিফায়েড (নীল ব্যাজ) পেজ। ২০১৪ সালে মাহির এই পেজটি হ্যাকড হয়। এখান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কিছু ছড়ানোও হয়েছে। এখন পর্যন্ত তা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি মাহি। আর এর কারণ মাহি নিজের অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভেরিফায়েডও করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন অগ্নিকন্যা’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা।</p> <p>মাহি বলেন, ‘এই ভেরিফায়েড পেজটা আমার কন্ট্রোলে নেই। ২০১৪ সালে কে বা কারা হ্যাক করেছিল। যেহেতু মাহিয়া মাহি নামে এটা ভেরিফায়েড তাই আমার নতুন কোনো পেজও আর ব্লু ব্যাজ পাচ্ছে না।’</p>