<p>দুই বাংলায় এখন অভিনয়শিল্পীদের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। জয়া আহসান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, নুসরাত ফারিয়া এপার বাংলার চেয়ে ওপার বাংলার কাজই বেশি করেন। অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ তাঁর প্রথম সিনেমা করেছেন কলকাতায়। অভিনেতাদের মধ্যে চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আরেফিন শুভও কলকাতার সিনেমার প্রধান চরিত্রে কাজ করে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন। বছর শেষে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার তাদের চোখে সেরা পাঁচ বাংলা সিনেমার তালিকা প্রকাশ করেছে। যেই তালিকার তিনটি সিনেমায় রয়েছেন বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরা।</p> <figure class="image"><img alt="bhhuscd" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/1703936643_shesh-pata.jpg" width="600" /> <figcaption>শেষ পাতা সিনেমায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় </figcaption> </figure> <p><strong>শেষ পাতা:</strong> অতনু ঘোষ পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বহু বছর আগে খুন হয়েছিলেন সিনেমা ও থিয়েটারের নামজাদা অভিনেত্রী রোশনি। ময়দান থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর লাশ। তবে সেই মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁর লেখক স্বামী বাল্মীকি। সে ঘটনা নিয়েই সহজভাবে বাস্তবের কিছু কঠিন ঘটনা তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। প্রসেনজিৎ ছাড়াও গার্গী রায়চৌধুরী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও রায়তি ভট্টাচার্যের সাবলীল অভিনয় ভুলিয়ে দেয় যে এটা আসলে সিনেমা! তার কৃতিত্ব পরিচালকের নিজস্ব পরিমিতিবোধের। প্রসেনজিতের এখনো পর্যন্ত ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিনয় এই ছবিতে।</p> <figure class="image"><img alt="ghdfhy" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/1703936673_mayar-jonjal.jpg" width="600" /> <figcaption>মায়ার জঞ্জাল সিনেমার পোস্টার</figcaption> </figure> <p><strong>মায়ার জঞ্জাল:</strong> প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ছোটগল্প ‘বিষাক্ত প্রেম’ ও ‘সুবালা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’। এটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে নিম্নবিত্তের বাঁচার লড়াই। যেখানে সোমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপি করিম। সকলকে ছাপিয়ে এই চরিত্রটি দিয়ে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী আপি করিম। সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহেল মন্ডল। স্বল্প সময়ের জন্য ব্রাত্য বসুর অভিনয়ও নজর কেড়েছিল আলাদা করে। বাংলা ছবিতে এক অন্য কলকাতা দেখার সুযোগ দিয়েছে এই ছবি।</p> <figure class="image"><img alt="mjvgyyud" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/1703936708_shonibar-bikel.jpg" width="600" /> <figcaption>শনিবার বিকেল সিনেমায় নুসরাত ইমরোজ তিশা</figcaption> </figure> <p><strong>শনিবার বিকেল: </strong>বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডে চার বছর ধরে আটকে থাকা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’। সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি না পেলেও ভারতীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম সনি লিভে মুক্তি পেয়েছে। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শনিবার বিকেল সিনেমাটি বানিয়েছেন ফারুকী। সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, নাদের চৌধুরী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ অনেকে।</p> <figure class="image"><img alt="jfjfu" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/1703936738_ardhangini.jpg" width="600" /> <figcaption>অর্ধাঙ্গিনী সিনেমার পোস্টার</figcaption> </figure> <p><strong>অর্ধাঙ্গিনী: </strong>চলতি বছরে যে গুটিকয়েক বাংলা ছবি গল্প বলার শৈলীর জন্য প্রশংসার দাবি করতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম ‘অর্ধাঙ্গিনী’। অসুস্থ স্বামী হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী। কঠিন পরিস্থিতিতে স্বামীর স্বার্থেই তার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে সাহায্য চায় বর্তমান স্ত্রী। এভাবেই তাঁর ছবিতে আধুনিক জীবনের এক জটিল নকশা এঁকেছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ছবিতে প্রাক্তন স্ত্রী শুভ্রার চরিত্রে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় এবং বর্তমান স্ত্রী মেঘনার ভূমিকায় নজর কেড়েছিলেন জয়া আহসান।</p> <figure class="image"><img alt="hgjfj" height="400" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nifat/1703936764_sohorer-ushnotomo-dine.jpg" width="600" /> <figcaption>শহরের উষ্ণতম দিনে সিনেমার পোস্টার </figcaption> </figure> <p><strong>শহরের উষ্ণতম দিনে:</strong> অরিত্র সেন পরিচালিত এই ছবিতে কলেজপ্রেমের নস্টালজিয়ার পাশাপাশি কলকাতার সঙ্গে এখনকার কম বয়সী বাঙালির অম্লমধুর সম্পর্কের স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে। বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং শোলাঙ্কি রায়ের রসায়ন চেনা গল্পেও নতুন স্বাদ এনে দিয়েছিল। তবে শুধু প্রেম নয়, বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া দিয়েও এই ছবির কিছু কিছু মুহূর্ত দর্শকের নজর কেড়েছিল। চেনা ছকে গল্প এগোলেও ছবির শেষে বাজি মেরেছিলেন পরিচালক। সম্ভবত সেই কারণেই লোকমুখে প্রচার পেয়েছিল ছবিটি। </p>