<p style="text-align:justify">রাজধানী ঢাকার মূল সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি সবখানেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। এসব রিকশার কোনো অনুমোদন নেই। আগে শুধু এলাকাভিত্তিক ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করত। এখন বিনা বাধায় মূল সড়কেও এসব রিকশা চলছে। তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে উৎপাত শুরু হয়েছিল সেটা কিছুটা কমে এসেছে। </p> <p style="text-align:justify">ঢাকার বেশির ভাগ উড়ালসড়কেও এসব রিকশা চলছে। এমনকি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও ব্যাটারিচালিত রিকশা দেখা গেছে। সন্ধ্যা পার হলেই মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকে। এতে মূল সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র বলছে, রাজধানীতে প্রায় ১০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এসব রিকশা চলাচলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট প্রতীকের কার্ড। যেমন—আপেল, ইলিশ, বাঘ, আম ইত্যাদি। রিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে প্রতি ব্যাটারিতে গ্যারেজ মালিকরা আলাদা করে নেন ৩৫ টাকা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/11/1731295577-4b716d8ccf6fbc39b7429895ad2c77a5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/11/11/1445274" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">রাজধানীসহ দেশজুড়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা কত তার হিসাব নেই সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই এসব যান নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। এসব যান চলাচলে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরির কথা আগে বলা হয়েছিল। সাধারণত দেশজুড়ে যান্ত্রিক যান চলাচলের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। আর অঞ্চলভিত্তিক ছোট যান চলাচলের অনুমতি দেয় আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আরটিসি)। রাজধানীতে পদাধিকারবলে এই কমিটির প্রধান পুলিশ কমিশনার। আর রাজধানীর বাইরে জেলা প্রশাসক কমিটির প্রধান হিসেবে যান চলাচলের অনুমতি দেন। আবার অযান্ত্রিক যান চলাচলের অনুমতি দেয় সিটি করপোরেশন। ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে বর্তমানে প্রায় আড়াই লাখ অযান্ত্রিক যান চলাচল করছে। যদিও ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজি বাইক চলাচলের অনুমতি হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। বিআরটিএও এসব যানের নিবন্ধন দেয় না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ট্রাম্পের বিজয় কি যুক্তরাষ্ট্রে বিভক্তি বাড়াবে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/11/1731294185-3962e39925f070cfbba6b535fe9098da.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ট্রাম্পের বিজয় কি যুক্তরাষ্ট্রে বিভক্তি বাড়াবে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/11/11/1445272" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি কোন প্রতিষ্ঠান দেবে তা পরিষ্কার নয়। কারণ যে প্রতিষ্ঠান এসব যান চলাচলের অনুমোদন দেবে ওই প্রতিষ্ঠানকেই রুট পারমিট, সংখ্যাগত ও পরিমাণগত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">এসব রিকশার দৈনিক জমার ক্ষেত্রেও রয়েছে ভিন্নতা। পুরনো পেডাল রিকশায় ব্যাটারি যুক্ত হলে দৈনিক জমা ৩০০ টাকা। কিছুটা ভালো রিকশার ক্ষেত্রে জমা ৩৫০ টাকা। নতুন রিকশার (আকারে কিছুটা বড়) ক্ষেত্রে দৈনিক জমা ৪০০ টাকা।</p> <p style="text-align:justify">ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার উৎপাদন ও দিন শেষে রাখার বড় জায়গা কামরাঙ্গীর চর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও। এসব এলাকাতেই পুরনো রিকশার নিচে ব্যাটারি বসিয়ে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যান তৈরি করা হয়। অনুমোদনহীন এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা মূলত স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইশারায় চলাচল করছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আ.লীগ আমলের আলোচিত মামলা এখনো স্থবির" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/11/1731292860-8a0d41afe43ace38c8d3497e67cf1daf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আ.লীগ আমলের আলোচিত মামলা এখনো স্থবির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/11/1445269" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ খোকন কালের কণ্ঠকে বলেন, রিকশার যন্ত্রপাতি সাইকেলের যন্ত্রপাতি বলে চীন থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। শুধু রিকশা ডাম্পিং বা ব্যাটারি খুলে নিলে এর সমাধান হবে না। সরকার পতনের সুযোগে ঢাকার বাইরে থেকে অগণিত ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকায় ঢুকেছে; এগুলোও বের করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বৈদ্যুতিক যান চলাচলসংক্রান্ত মোটরযান নীতিমালা অনুমোদন করে সরকার। বৈদ্যুতিক যেসব যান বর্তমানে সড়কে চলাচল করছে, সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করার বিধান রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বিদ্যমান নকশায় রিকশা চলাচল করবে কিভাবে? সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান যে রিকশাগুলো রয়েছে এগুলো পায়ে চালানোর জন্য উপযুক্ত এবং মোটরের গতিতে চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এগুলোর নকশার ধরনই ধীরগতির। ফলে ব্যাটারি ব্যবহার করে চালানোর জন্য রিকশার উপযুক্ত নকশা দরকার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন উপদেষ্টাদের শপথ : ক্ষোভ ঝাড়লেন দুই সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/11/1731292212-15887e1736af6c03b171daf9147e6c4c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন উপদেষ্টাদের শপথ : ক্ষোভ ঝাড়লেন দুই সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/11/1445268" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, মূল সড়কে অনুমোদনহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণের সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আইন না মানলে জরিমানা করা হচ্ছে। রিকশায় জরিমানা করার সুযোগ নেই। তাই তাদের মূল সড়কে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।</p>