<p>ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউটস (ডব্লিউআরআই) এর উদ্যোগে ডিএনসিসি’র নগর ভবন মিলনায়তনে ‘নিরাপদে স্কুলে প্রবেশ’ বিষয়ক দিনব্যাপী কাঠামোগত নকশা প্রণয়ন শেখার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। </p> <p>ব্লুমবার্গ ফিলান্থ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রাম এর অধীনে ডাব্লু আর আই কর্তৃক শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার দের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম।ৎ</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রিমান্ড শেষে শমী কায়সার-তাপস কারাগারে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731149159-b4ce44755073e4070498486a8706b45f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রিমান্ড শেষে শমী কায়সার-তাপস কারাগারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/11/09/1444601" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিআইজিআরএস-এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক-ঢাকা উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম সুজন। </p> <p>ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, সবার জন্য শহরকে নিরাপদ করতে চাই। এজন্য সড়ক ও ফুটপাথ নিরাপদ করা জরুরি। ডিএনসিসি সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে সড়ক ও ফুটপাথকে নিরাপদ করার লক্ষে কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি প্রশিক্ষণের সাফল্য কামনা করেন ও প্রশিক্ষণার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে তার বক্তব্য শেষ করেন। </p> <p>ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ২০২১ সালে ‘ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ফর গ্লোবাল রোড সেফটি’ ( বিআইজিআরএস) শীর্ষক বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এ কর্মসূচির উদ্যোগে ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউট-এর গবেষণা ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকার বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন সড়ককে পথচারী ও শিশুবান্ধব অবকাঠামো সহযোগে পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এ পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপার এবং ব্যবহার করার লক্ষ্যে কার্যক্রম বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন।</p> <p>বিআইজিআরএস এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ কর্মসূচির অন্যতম অংশীদার ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইন্সটিটিউট ফুটপাথ ডিজাইন ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। এ কর্মশালার যার মূল উদ্দেশ্য সব বয়সী ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত নিশ্চিতকরণের জন্য অবকাঠামোগত নকশা প্রণয়নে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান কে দক্ষ করে গড়ে তোলা।  </p> <p>কর্মশালার প্রথম সেশনে ডাব্লিউআরআই’র সহকারী পরামর্শক এরিনা তাহনীম ঢাকার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ যাতায়াতের অন্তরায় বিষয় তুলে ধরে বিস্তারিত আলোচনা করেন স্থপতি ও নগর নকশাবিদ মুসতাসিম মাহমুদ খান।</p> <p>তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর যাতায়াতের পরিবর্তে গণপরিবহনে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট স্থানে উঠা-নামানোর ব্যবস্থা ও গাড়ি থামানোর জায়গা রাখা, যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানের গেট পর্যন্ত নিরাপদে হেঁটে পৌছানোর অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।’</p> <p>লেকচার পর্বের নকশা প্রণয়ন সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধে নকশা প্রণয়ন এর নিয়মাবলী, সমাধান প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডব্লিউআরআই’র টেকসই শহর কর্মসূচির পরামর্শক স্থপতি ফারজানা ইসলাম তমা।</p> <p>তিনি বলেন, ‘প্রায়ই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। কিন্ত নিরাপদ নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে যে এসব দুর্ঘটনার পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের জানা জরুরি। এ কর্মশালায় নিরাপদ নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বা অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে নগরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিরাপদ এলাকার আওতাভুক্ত করতে পারে।’</p>