<p style="text-align:justify">গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আব্দুল গণি আকন্দ (৩০) নামের এক গ্রামপুলিশ সদস্যকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব মো. আব্দুস সালাম মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">মারপিটে আহত গণি ওই ইউনিয়নের কিশামত বাগচি গ্রামের নীল মিয়ার ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">দলীয় পদ স্থগিত করা নেতারা হলেন- কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আব্দুস সালাম মিয়া জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক মিয়ার স্ত্রী মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন তার জন্মনিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যান। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল কাদের মিয়া ও হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর বেলাল হোসেন তাকে পরে আসতে বলেন। </p> <p style="text-align:justify">এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর নিলুফা ইয়াসমিন কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনাসহ ২০-২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরকে গালিগালাজ শুরু করেন। </p> <p style="text-align:justify">এক পর্যায়ে তারা তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশরা বাধা দিলে তারা আব্দুল গণি আকন্দ নামের এক গ্রামপুলিশকে বেদম মারপিট করেন। এতে নাক ফেটে গুরুতর আহত হন তিনি। এখন তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। </p> <p style="text-align:justify">গণি জানান, উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করতে তিনি ও তার অন্য সহযোগীরা এগিয়ে গেলে শহিদুল ইসলাম সোনার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে মারধর করে। হুমায়ুন মিয়া নামের এক ব্যক্তির ঘুষিতে তার নাক ফেটে যায়।</p> <p style="text-align:justify">স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলতে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনার সঙ্গে দুপুরে যোগাযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।</p> <p style="text-align:justify">কামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এ আর এম মাহফুজার রহমান জানান, এ সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন না। খবর পেয়ে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তাজউদ্দিন খন্দকার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>