<p>ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ ওরফে মানুকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।</p> <p>রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলের দিকে শহরের দক্ষিণ টেপাখোলার হরিসভা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমান সরকার কর্তৃক সম্প্রতি অপসারণ করা ফরিদপুর পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও ছিলেন।</p> <p>মাইনুদ্দিন আহমেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আহত এক ছাত্রীর বাবা মুজাহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।</p> <p>আজ দিবাগত রাতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>থানা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয় শিক্ষার্থীরা। হামলার সময় আহত হন ফরিদপুর সদরের মাহমুদপুর এলাকার বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলামের মেয়ে হেলথ কেয়ার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থী মুমতাহীনা ইসলাম (১৯) নামের এক ছাত্রী।</p> <p>এ ঘটনায় মুজাহিদুল ইসলাম (৪৬) বাদি হয়ে গত ১০ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ৭৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু।</p> <p>গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে শহরের হরিসভা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ওসি জানান। </p>