<p style="text-align:justify">বগুড়ার শেরপুর পৌর উত্তরবাহিনী মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া এক নারীর মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওই নারীর নাম গোলাপী সরকার (৫৩)। তিনি শহরের উত্তরসাহা এলাকার লক্ষ্মীতলা মহল্লার সুরেশ সরকারের স্ত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নিহতের ছেলে রঞ্জিত সরকার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, পৌর শহরের করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত উত্তরবাহিনী মহাশ্মশান। পৌরসভা থেকে শ্মশানটি দেখভাল করা হয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্মশানের ভেতরে ঢুকে একদল দুর্বৃত্ত। পরে সমাধি খুঁড়ে মৃত গোলাপী সরকারের মাথা কেটে চুরি করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন শুক্রবার সকালে এমন দৃশ্য দেখতে পান নৈশ প্রহরী প্রমোদ সরকার। পরে নিহতের পরিবারকে জানান তিনি। মূলত এর পরই ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করে।</p> <p style="text-align:justify">নিহতের স্বামী সুরেশ সরকার বলেন, ‘বিগত ১৬ দিন আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আমার স্ত্রী গোলাপী সরকার। পরে তার মরদেহ মহাশ্মশানে সমাধি দেওয়া হয়। কিন্তু সমাধি খুঁড়ে লাশের মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এভাবে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হবে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। পরে সমাধি ফের মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">ওই মহাশ্মশানটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রমোদ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শেরপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নাটোরের সিংড়া উপজেলা অনেকের লাশ এই মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য নিয়ে আসা হয়। কিন্তু শ্মশানের সমাধি থেকে লাশের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।</p> <p style="text-align:justify">জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শফিক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।</p>