<p>কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ১৮ জন ইউপি সদস্যকে আটকের পর ১৫ জনকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্য তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। </p> <p>ইউপি মেম্বারদের সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা থেকে শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সংস্থাটির চেয়ারম্যান। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রিমান্ড শেষে শমী কায়সার-তাপস কারাগারে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731149159-b4ce44755073e4070498486a8706b45f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রিমান্ড শেষে শমী কায়সার-তাপস কারাগারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/11/09/1444601" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পুলিশ জানিয়েছে, গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল ইউনি রিসোর্টে অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানকালে অনেকে পালিয়ে গেলেও ৪০ জনকে আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই বাছাইয়ের পর যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের আটক করা হয়। </p> <p>কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইজুল আযীম নোমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। </p> <p>সূত্র মতে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আটক হওয়া ইউপি সদস্যদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শুক্রবার দুপুরের পর শহরের ইউনি রিসোর্টে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) কক্সবাজার জেলা শাখা 'রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্থানীয় উন্নয়নে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করনীয়' শিরোনামে এই আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। এতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। </p> <p>এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতজন মুহাম্মাদ আতা উল্লাহ খান। ওই সভা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মো. ছৈয়দ নূর মেম্বার। </p> <p>সূত্র মতে, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে ওই আলোচনা সভার নামে আওয়ামী লীগের দোসর ইউপি মেম্বাররা হোটেল ইউনি রিসোর্টে জড়ো হয়ে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। এমন খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সভায় আওয়ামী লীগের দোসর অনেক ইউপি সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। তবে সেই সভায় সরকার বিরোধী কোনো কথা হয়নি। বরং তৃণমূলের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি হিসেবে ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে সহযোগী করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবণা তুলে ধরা হয়। </p> <p>পুলিশ জানায়, অভিযানের সময় অধিকাংশ ইউপি সদস্য সটকে পড়েন। তবে ৪০ জনের মতো ইউপি সদস্যকে হোটেলে আটকে দেওয়া হয়। পরে যাচাই বাছাই করে মামলার আসামি থাকা ১৮ জনকে আটক করা হয়। </p> <p>পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ জানান, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত ১৮ জন ইউপি মেম্বারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শনিবার দিনভর যাচাই বাছাইয়ের পর ১৫ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। </p> <p>তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা আটক তিনজন ইউপি সদস্যকে 'ইনোসেন্ট' হিসেবে সনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না থাকায় থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। </p>