<p>পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরের শত শত বসতবাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠগুলোতে থৈ-থৈ করছে ময়লাযুক্ত পানি। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এমন জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টানা বর্ষণে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ৪ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।</p> <p>সরেজমিন গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, ঘাটান্দি মহল্লার অধিকাংশ বাসায় প্রবেশ করেছে ময়লাযুক্ত পানি। ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ মাঠ, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ইবরাহীম খাঁ মাজার রোড, ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘাটান্দির বিভিন্ন রাস্তায় থৈ-থৈ করছে পানি। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি প্রবেশ করায় মালামাল ও আসবাব নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকেই। </p> <p>ব্যবসায়ী রায়হান তালুকদার রাসেল বলেন, পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পিত ব্যবস্থা না থাকা ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বছরের পর বছর আবেদন করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।</p> <p>ঘাটান্দি মহল্লার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম কিসলু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘাটান্দি মহল্লার অধিকাংশ বসতবাড়িতে ময়লাযুক্তর পানি প্রবেশ করেছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই ড্রেনেজব্যবস্থা। পৌর কর্তৃপক্ষ নামেমাত্র কিছু ড্রেন নির্মাণ করলেও সেই ড্রেন দিয়ে কোনো পানি অপসারণের ব্যবস্থা নেই। আর এ কারণে বৃষ্টি হলেই ঘাটান্দি মহল্লার রাস্তাঘাট হাঁটুপানির নিচে তলিয়ে যায়। বসতবাড়িতে প্রবেশ করে বৃষ্টির পানি।</p> <p>ভূঞাপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সুকোমল রায়ের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p>ভূঞাপুর পৌরসভা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, কয়েক দিন আগে পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়। যেহেতু টানা বৃষ্টি, তাই জলাবদ্ধতা হয়েছে। দ্রুত ড্রেন পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।</p>