<p>কু‌ড়িগ্রা‌মের চিলমারী‌তে ভারত থে‌কে আসা ১৯৭ মে‌ট্রিক টন কয়লা ঘা‌টেই প‌ড়ে আছে। পারস্পরিক দ্ব‌ন্দ্বের কার‌ণে গত চার মাসেও এসব কয়লা খালাস কর‌া সম্ভব হয়‌নি। এ ঘটনার প্রতিকার চে‌য়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর কে ড্রেজিং অ‌্যান্ড কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা জেলা প্রশাসকসহ বি‌ভিন্ন দপ্ত‌রে লি‌খিত অভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন।</p> <p>অভি‌যোগ সূ‌ত্রে জানা যায়, একটি বাল্কহেডের মাধ‌্যমে চলতি বছরের ৫ জুন ভারত থে‌কে ১৯৭ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি ক‌রে মেসার্স আর কে ড্রেজিং অ‌্যান্ড কনস্ট্রাকশন না‌মে এক‌টি প্রতি‌ষ্ঠান। বাল্কহেডটি চিলমারী ফকিরের হাট ঘাটে এলে সরকারি যাবতীয় নিয়ম মেনে কয়লা আনলোড করতে ‌গে‌লে বাধা দেন বাল্কহেডের মালিক আনোয়ার হোসেন। পরে বাল্কহেডটি কয়লাসহ কাঁচকোল ঘাটে নেওয়া হয়। এরপর কয়লা খালাসের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তি‌দের সমন্বয়ে বৈঠক করেও কোনো সুফলপাওয়া যায়‌নি। প‌রে গত ১৫ সে‌প্টেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বি‌ভিন্ন দপ্ত‌রে লিখিত অভিযোগ করেন আমদা‌নিকারক প্রতিষ্ঠা‌নের প্রতি‌নি‌ধি মাসুদ রানা।</p> <p>মাসুদ রানা বলেন, ‘সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এআইটিসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন ক‌রে ৫ জুন ভারত থে‌কে ১৯৭ মেট্রিক টন কয়লা ফ‌কি‌রের হাট ঘা‌টে নি‌য়ে আসি। কিন্তু বাল্ক‌হে‌ডের মা‌লিক‌দের দ্ব‌ন্দ্বের কার‌ণে কয়লা খালাস করা সম্ভব হ‌চ্ছে না। ফ‌লে আর্থিক ক্ষ‌তির সম্মু‌খীন হ‌চ্ছি। এ বিষ‌য়ে জেলা প্রশাসক বরাবার লি‌খিত অভিযো‌গের পাশাপা‌শি সংবাদ স‌ম্মেলনও ক‌রে‌ছি।’</p> <p>ত‌বে এসব অভিযোগ অস্বীকার ক‌রে বাল্ক‌হেড মা‌লিক আনোয়ার হো‌সেন জানান, প্রতি মা‌সে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা চু‌ক্তি‌তে চার‌টি বাল্ক‌হেড ভাড়া ক‌রেন তারা। প‌রে ভারত থে‌কে আমদা‌নীকৃত ক‌য়লাবা‌হী তিন‌টি বাল্ক‌হেড বি‌ভিন্ন জায়গায় নিয়ে খালাস করা হয়। কিন্তু ভাড়ার টাকা প‌রি‌শোধ না কর‌ায় এক‌টি বাল্ক‌হে‌ডের কয়লা খালাস করা হয়‌নি। স্থানীয়ভা‌বে মীমাংসা করা হ‌লেও ভাড়া প‌রি‌শোধ ক‌রে‌নি তারা। প্রতিষ্ঠান‌টির কা‌ছে প্রায় ৩১ লাখ ২০ টাকা পাওনা র‌য়ে‌ছে। </p> <p>তি‌নি আরো জানান, ভাড়া দি‌তে চে‌য়ে টালবাহানা করা হ‌চ্ছে। পাবনায় টাকা দি‌তে চে‌য়ে আমাকে ডে‌কে নেওয়া হ‌য়। গত তিন‌ দিন ধ‌রে পাবনায় প‌ড়ে আছি কিন্তু টাকা দি‌চ্ছে না।</p> <p>ভারপ্রাপ্ত উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ‌জেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) নঈম উদ্দিন ব‌লেন, ‘বিষয়‌টি শু‌নে‌ছি। তাদের দুই গ্রু‌পের দ্ব‌ন্দ্বের কার‌ণে এ প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে। বিষয়‌টি জেলা থে‌কে সমাধা‌নের চেষ্টা করা হ‌চ্ছে।’</p>