<p>মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে আটক আরো ৮৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। একই সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২৩ জন মিয়ানমার সেনা ও সীমান্তরক্ষী বিজিপি সদস্য নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। </p> <p>আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে তাদের গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।</p> <p>মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন জাহাজ কর্ণফুলী টাগে (টাগ-১) করে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশি পানিসীমা থেকে উত্তর নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়। এর আধাঘণ্টা আগে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ঘাটে নিয়ে আসা হয়। </p> <p>গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ তাদের বহন করে নিয়ে আসে। এই জাহাজে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা ফিরে গেছেন।</p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে, এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিলেন। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বাসিন্দা। বাকিরা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকার বাসিন্দা।</p> <p>সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের ইয়াঙ্গুনস্থ দূতাবাস এবং সিতওয়েস্থ কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় এসব নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। গত ১৫ মাসে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৩৩২ জন বাংলাদেশিকে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৮ জুনে ৪৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন।</p> <p>ইতিপূর্বে ১৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ বিজিপি, সেনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এরপর ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয় এবং ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফেরত আসেন। সর্বশেষ ৮ জুন একই ঘাট থেকে ১৩৪ জন বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত যান এবং মিয়ানমার থেকে ফেরত আসেন ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।</p> <p>এদিকে প্রত্যাবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কনস্যুলেট প্রত্যাগতদের পরিচয় যাচাইকরণ, ভ্রমণ অনুমতি প্রদান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।</p>