<p>বগুড়ার সোনাতলায় স্মার্ট কার্ড করে দেওয়ার নাম করে দুই মাস আগে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে কার্ডগুলো হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে সংশ্লিষ্ট ডিলার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতে ৫৭৬টি পরিবার স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য উত্তোলন করতে পারছেন না। </p> <p>শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য উত্তোলন করতে গেলে এ ঘটনা ফাঁস হয়।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তালিকায় নিজের লোক অর্ন্তভুক্তীর জন্য পুরাতন তালিকাভোগীদের বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রণয়ন করেন। পরে তা অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়ে দেন।</p> <p>বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৪ নম্বর জোড়গাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় ১০/১২টি গ্রামের ৫৭৬ জনের তালিকা করে দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে আসছে। দুই মাস আগে ওই ইউনিয়নের কোড়াডাঙ্গা গ্রামের ডিলার নুরুল ইসলাম স্মার্ট কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৫৭৬ জন সুবিধাভোগীর কার্ড জমা নেন। এরপর তাদের কার্ড আর ফিরিয়ে দেননি। এরই মধ্যে এক দফা ওই কার্ডধারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে পণ্য সরবরাহও করা হয়। শুক্রবার ওই ইউনিয়নের ৪নম্বর থেকে ৮নম্বর ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা ছিল। ওই কার্ডধারীরা উপজেলার চরপাড়া বাজারে মেসার্স মামা-ভাগ্নে ট্রেডার্সের জাকিরুল ইসলাম লিচুর গুদামে মালামাল তুলতে গেলে কার্ড ছাড়া পণ্য দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। এতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের উপক্রম হয়। </p> <p>এ বিষয়ে ডিলার নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কার্ড নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও দেশত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা আমার গুদামে হামলা চালিয়ে পণ্যসহ কার্ডগুলো পুড়িয়ে দেয়। পরে কার্ডগুলো আর ফিরিয়ে দিতে পারিনি। </p> <p>জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই টিসিবির সুবিধাভোগীদের আরেকটি নতুন তালিকা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তাছাড়া ওই সব কার্ডধারীদের নমিনির নাম রেজিস্টার ভুক্ত করতে ডিলারকে কার্ডগুলো নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।’ </p> <p>এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) স্বীকৃতি প্রামানিক বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আগের তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের টিসিবি পণ্য দেওয়া হবে। আর যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।</p>