<p style="text-align:justify">৭২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দ্বিতীয় দিনের মতো সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আন্ত: জেলা ও অভ্যন্তরীন সড়কে গাড়ি চলছে না। কেবল শহর ও শহরতলীতে হালকা যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।<br />  <br /> এছাড়া খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংস ঘটনা এবং সড়ক অবরোধ কর্মসূচির কারণে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত বন্ধ রয়েছে। স্কুল-কলেজে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় অবকাশকেন্দ্র সাজেকে কয়েকশ পর্যটক আটকা পড়েছেন। অবরোধের কারণে তারা ফিরতে পারছেন না। তবে আটকে পড়া পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা কেউই নিশ্চিত করতে না পারলেও সহস্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে। </p> <p style="text-align:justify">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের একজন রিসোর্ট ম্যানেজার জানান, শুক্রবারে জীপ, পিক আপ, মাহেন্দ্রসহ ১৭৮টি গাড়িতে করে পর্যটকরা সেখানে গিয়েছেন। এর আগেও কিছু পর্যটক সেখানে ছিল। এর ফলে অবরোধের কারণে কতজন পর্যটন আটকা পড়েছেন তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। </p> <p style="text-align:justify">রুইলুই রিসোর্টের মালিক নুরনবী জানান, তার রিসোর্টে শনিবার পর্যন্ত ৯ জন পর্যটক রয়েছেন। তারা খাগড়াছড়িতে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।  </p> <p style="text-align:justify">সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, আটকেপড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে নিতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে আপাতত খাগড়াছড়িতে আনার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার সমাবেশ থেকে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। আঞ্চলিক সংগঠন  ইউপিডিএফ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">অপরদিকে গত বুধবার খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে যে যুবককে হত্যার ঘটনায় এতো ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, সেই ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">হত্যার শিকার মো. মামুনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ বাঙ্গালী ও উপজাতীকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন, জেলা সদরের শালবাগান এলাকার মো. শাকিল, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রফিকুল আলম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম।</p>