<p>দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রাড়তে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গিয়ে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন থাকতে দেখা গেছে। তারা সবাই ঢাকা ফেরত।</p> <p>অপরদিকে ডেঙ্গু রোগীর জন্য শিরায় দেওয়া স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।</p> <p>দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সবাই ঢাকা ফেরত। কেউ ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন, আবার কেউ ঢাকা থেকে এসে ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছেন। তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত। গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই ৭জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।</p> <p>চিকিৎসাধীন ৭ জনের মধ্যে ঢাকায় পড়ালেখা করেন তামান্না ও নুসরাত। তারা দুজনেই ঢাকা ফেরত। গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তারা দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।</p> <p>নুসরাত জানান, তিনি গত সোমবারে (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে দিনাজপুরে এসেছেন। এরপরদিন মঙ্গলবার পরীক্ষা করার পর সনাক্ত হন তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। একই অবস্থা তামান্নারও।</p> <p>ডেঙ্গু আক্রান্ত মোহাম্মদ মুন ও মিজানুর রহমানও ঢাকা ফেরত। মোহাম্মদ মুন ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন ও মিজানুর রহমান গার্মেন্টসকর্মী। তারা ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।</p> <p>এদিকে ওয়ার্ডে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গু রোগীর জন্য শিরায় দেওয়া স্যালাইনের সংকট রয়েছে। রোগীরা বাইরে থেকে সাধারণ স্যালাইন (এনএস) ও গ্লুকোজ-সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) কিনে নিয়ে আসছেন। </p> <p>এ ব্যাপারে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, চলতি মৌসুমে জুন মাসে ২ জন, জুলাই মাসে ৫ জন, আগস্ট মাসে ১৮ জন ও চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘শিরায় দেওয়া স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আপদকালীন সময় বিবেচনায় নিয়ে কিছু স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। আমরা চাহিদাপত্র প্রেরণ করেছি। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। শনিবার অথবা রবিবারের মধ্যে পর্যাপ্ত স্যালাইন পেয়ে যাব। তখন আর ডেঙ্গু রোগীদের স্যালাইন কিনতে হবে না।’</p>