<p style="text-align:justify">চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর মিত্রকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আনোয়ারা উপজেলা শাখার এডহক কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। খোদ হিন্দু সম্প্রদায়ের সচেতন মহলও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। </p> <p style="text-align:justify">তারা জানান, ভূমিদস্যু ও দালালদের উচ্চস্থানে রেখে আনোয়ারা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে তৃণমূলের মতামতের প্রেক্ষিতে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন। </p> <p style="text-align:justify">গতকাল শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি নিতাই প্রসান ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">কমিটিতে দেখা যায়, বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। কমিটির আহ্বায়ক সাগর মিত্র আনোয়ারা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ হয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করার জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। গত ৪ আগস্টে সাগর মিত্রের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পোস্টে ছাত্র আন্দোলনকে বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে গণজমায়েত ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি ঘোষণার পর থেকে ফেইসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কানু দত্ত নামের এক ব্যক্তি তার ফেইসবুক আইডিতে লেখেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি বয়কট করুন। বিপদে আপদে কাউকে পাবেন না, এরা সব সময় দালালি করে আসছে।’</p> <p style="text-align:justify">গোবিন্দ দত্ত নামের এক যুবক বলেন, আনোয়ারা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির ২৫ জনের মধ্যে ১১জন সদর ইউনিয়নের। এটা কোটায় হয়েছে নাকি লীগের হয়েছে! এই কমিটিকে আনোয়ারা পূজা উদযাপন কমিটি না বলে সদর পূজা উদযাপন কমিটি বলা যেত।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা জানান, সদ্য ঘোষিত আনোয়ারা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির আহ্বায়ক কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া কমিটির বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এসব কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন।</p> <p style="text-align:justify">কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন বলেন, তৃণমূলের মতামতের প্রেক্ষিতে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল যদি চায় তাহলে কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে।</p>