<p>রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেছেন, দিল্লির দাসত্ব করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে ছিল। বিরোধ দি‌ল্লির সঙ্গে। তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী আচরণ দে‌খি‌য়ে যা‌চ্ছে। আর কোথাও দিল্লি নেই। কেউ দিল্লির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশে দিল্লির গোলাম নেই। বাংলাদেশের মানুষ আর দিল্লির দাসত্ব করবে না।’ </p> <p>শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জনসভা ক‌রে সংগঠন‌টি। তারা মূলত বাংলা‌দেশ-ভারত সীমান্তে ভারত সরকার ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনী বিএসএফ কর্তৃক নিয়‌মিত বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে এ আয়োজন করে।</p> <p>রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক খন্দকার আরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। বিশেষ অতিথি ছি‌লেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ন্যায়পাল রায়হান কবীর, সংগঠক ও বি‌শিষ্ট কলা‌মিস্ট নাহিদ হাসান। এ ছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব‌্য রা‌খেন।</p> <p>প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে ফরিদুল হক ব‌লেন, ‘স্বর্ণা দাসের ঘটনার পর ভারত বলল বিজিবি তাকে মেরেছে। কিন্তু সীমান্ত হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কারণ ‌দি‌ল্লি বাংলাদেশকে গাজা উপত্যকা মনে করে। গাজা মডেল দিল্লি আমদানি করেছে। এটা বাংলাদেশের জনগণ আর মানবে না। সীমান্ত হত‌্যা বন্ধ না হ‌লে কু‌ড়িগ্রাম থে‌কে সীমান্ত অভিমু‌খে লংমার্চ করা হ‌বে।’</p> <p>সংগঠক না‌হিদ হাসান ব‌লেন, ‘আমরা বলতে চাই, ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। তারা বন্ধুত্ব দেখাবে এটাই কাম্য। বন্ধুত্বের বদলে গুলি বন্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের জোর দাবি জানাই।</p> <p>বক্তারা বলেন, ’ভারতকে বুঝতে হবে ছোট হলেও আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ফেলানী থেকে স্বর্ণা কিংবা জয়ন্ত, এভাবে নির্বিচারে ভারতের হত্যাকে আমরা আর মেনে নিতে পারছি না।’</p> <p>সন্ধ‌্যায় শেষ হওয়া জনসভা শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ‌্যমে।</p>