<p>বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর টেপুরা গ্রামে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রিনা বেগম (৪০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে। </p> <p>রিনা বেগম ওই গ্রামর মৃত্যু আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের মেয়ে।</p> <p>জানা গেছে, গত ২৫ বছর আগে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর টেপুরা গ্রামের আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের মেয়ে রিনা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের মোকলেছ মুন্সির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় রিনা বেগমের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে তার স্বামী মোকলেছ মুন্সি রিনাকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হন। ওই সময় রিনা তার বাবার বাড়িতে একটি দোচালা টিনের ঝুপরি ঘরে বসবাস করে আসছেন।</p> <p>রবিবার সকাল সাড় ৮টার দিকে প্রতিবেশীরা তার ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে এগিয়ে এসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে তারা পুড়ে যাওয়া ঘরের মধ্য থেকে রিনাকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।  </p> <p>রিনা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বাবার বাড়িতে তাকে আলাদা একটি ঘর তুলে থাকতে দেওয়া হয়। তার বৃদ্ধ মা এবং ভাই সালাউদ্দিন বাড়ির পাশে আলাদা জমিতে ঘর তুলে বসবাস করেন। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রিনা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে।</p> <p>নিহত রিনা বেগমের ভাই সালাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, আমার বোনের মাথায় সমস্যা আছে। এজন্য তাকে বাড়ির ভেতরে একটি ছোট দুই চালা ঘর তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সে একাই থাকতো। আগুনের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না বলে জানান। ভাই আরো জানান, রিনা বেগমের হৃদয় (২০) ও হৃদি (১৭) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। তারা ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কম্পানিতে চাকরি করেন।</p> <p>নিহত রিনা বেগমের মা সুফিয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ের ১০-১২ বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। কিভাবে আগুন লাগছে তা তিনি কিছুই বলতে পারেন না। </p> <p>আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, লাশ উদ্ধার করে বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।</p>