<p style="text-align:justify">দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিটটি গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তৃতীয় ইউনিটে গত ৩১ জুলাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে বেড়ে যায় এ অঞ্চলের বিদ্যুৎবিভ্রাট।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, তৃতীয় ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা লাগছে।</p> <p style="text-align:justify">বড় পুকুরিয়ার তিনটি ইউনিটের মধ্যে ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। গেল মাসে তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎবিভ্রাট বেড়ে যায়। দুটি ইউনিট উৎপাদনে না থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় চরমভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নিত হয়।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে তৃতীয় ইউনিট চালুর পরই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট। এই ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ চলবে। ১ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬০-৬৫ মেগাওয়াট।</p> <p style="text-align:justify">তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক ২৫০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। কিন্তু বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ রয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন।</p> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে এর আগে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চলে।</p> <p style="text-align:justify">বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট থেকে তৃতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা শুরু হয়। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কারকাজের জন্য এক সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা। তৃতীয় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমবে আশা আলো দেখছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</p>