<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল তার ব্যবহৃত পিস্তলটি জমা দেননি। ৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্র জমা দেওয়ার তারিখ শেষ হলেও সেটি জমা দেননি তিনি। কাজলের বিরুদ্ধে অস্ত্রের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে সূত্র।<br />  <br /> ইতোমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতাও শুরু হয়েছে। ১০ বছর আগের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে সেটি এখনো নথিভুক্ত হয়নি। আরো একাধিক মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত বিষয়েও তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। <br /> জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় সেগুলো বাতিল করে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সমপর্ণযোগ্য ৬৩টি অস্ত্রের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ৬০টি জমা পড়ে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে পিস্তল, শটগান ও দুইনালা বন্দুক।</p> <p>এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা কালের কণ্ঠকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সমর্পণযোগ্য ৬৩টি অস্ত্রের মধ্যে ৬০টি নির্ধারিত সময়ে জমা পেয়েছি। বাকি যে তিনজন দেননি তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p> <p>তৃতীয়বার মেয়র হওয়ার পর তিনি পিস্তল ব্যবহার শুরু করেন। শুরুর দিকে তিনি প্রকাশ্যে কোমরে রেখে ঘোরাফেরা করতেন, যা আইনসিদ্ধ নয়। কয়েক মাস এভাবে দৃশ্যমান দেখার পর অবশ্য তিনি কোমরে রাখলেও সেভাবে কারো চোখে পড়ত না।</p>