<p>রাজবাড়ীতে বৈধ ১০৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল।</p> <p>রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ১০৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। যে ক্যাটাগরিতে রয়েছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারী কর্মকর্তা (চলমান), সাবেক এমপি ও মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বদের বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল, রাইফেল রয়েছে মোট ৪৬টি। এই ৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি একটি পিস্তল ও একটি বন্দুক জমা দেওয়া হয়নি। ওই দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে।</p> <p>অপরদিকে, রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডল, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্ডল, রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৪ জন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন।</p> <p>জেলা প্রশাসনের চাওয়া বৈধ ৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১৮টি পিস্তল, ২৪টি বন্দুক বা শটগান ও ২টি রাইফেল জমা পড়ে। বাকি দুটি অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হলেও তা এখনো জমা দেয়নি।</p>