<p>ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানো ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় মৌলভীবাজার চৌমুহনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p>সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন সদস্য জুবায়েল আহমেদ, জিসান চৌধুরী, ইফাজ আহমেদ কয়েছ, মীম সুলতানা, মাহিন আহমেদ ইব্রাহিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।</p> <p>সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ ২০১১ সালে ফেলানী খাতুন নামের ১৫ বছর বয়সী শিশুকে গুলি করে হত্যা করে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশটা তখন সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করলেও সেই খুনি বিএসএফ সৈনিকদের কোনো বিচার হয়নি। গত ১ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায় সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় বড় ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। সাথে থাকা স্বর্ণার মাকেও আহত করে। প্রতিবছর বিএসএফ গুলি করে নির্বিচারে অনেক বাংলাদেশিকে মারছে। আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে প্রতিবছর নির্বিচারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হলেও কোনো বিচার হতো না এই অন্যায় বন্ধের দাবি জনগণ জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে সরব আলাপ চলত না।</p> <p>তারা আরো বলেন, ভারত কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নয়। আমাদের বুঝতে হবে ভারত একটা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র। ফলে সে তার সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অন্যায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাথে করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না, ভারত সব আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখায় বাংলাদেশের নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। তিস্তায় বাঁধ দিয়ে উত্তরবঙ্গকে মরুভূমি বানানো হচ্ছে। আবার যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন সব গেইট খোলে দিয়ে বন্যার পানিতে বাংলাদেশ ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সব স্বাধীনতাকামী জনগণ নির্বিচারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার বিচার এবং এই নির্মম হত্যা কাণ্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।</p>