<p>পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে। দায়িত্ব সামলেছেন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে। এবার ৩ বছরের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম। ১২৯ দিন আগে নিয়োগ পাওয়া আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।<br />  <br /> সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতিমা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানা যায়। </p> <p>প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৭ অনুযায়ী মো. নুরুল করিমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। </p> <p>এদিকে ইউনুস ছাড়াও সিডিএ’র ৯ জন সদস্যকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তারা হলেন-এম আশরাফুল আলম, জিয়াউল হক সুমন, মুহাম্মদ আলী শাহ, মো. ফারুক, মুনির উদ্দিন আহমদ, জসিম উদ্দীন শাহ, আশিক ইমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী ও আলী আহমেদ।</p> <p>সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের শৈলাকুপা গ্রামে। বাবার নাম তোফায়েল আহমেদ সিকদার। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। আর তোফায়েলের সন্তানদের নুরুল করিম দ্বিতীয়। </p> <p>উল্লেখ্য, গত ২৭ অগাস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী চট্টগ্রাম’ ব্যানারে নগরীর কোতোয়ালী মোড়ে সিডিএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মো. ইউনুছের পদত্যাগ দাবি করা হয়। এর পাঁচ দিন পরেই সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে মো. ইউনুছের নিয়োগ বাতিল করা হলো। অথচ ইউনুসকে গত ২৪ এপ্রিল তিন বছরের জন্য সিডিএ চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। মাত্র ১২৯ দিন দায়িত্ব পালন শেষে তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।</p> <p>২০০৯ সাল থেকে সিডিএ চেয়ারম্যান পদে রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। সেবার প্রথম সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামকে। টানা ১০ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন আবদুচ ছালাম। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আবারও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান ডলফিন। পরে ডলফিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন মো. ইউনুছ।</p>