<p>সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নৌকায় করে পিকনিকে গিয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের পাঁচদিন পর সোয়েব হাসান (১৮) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।</p> <p>রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার রাউতারা জলকপাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী থেকে চার সদস্যের ডুবুরি দল এসে দুই দফায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।</p> <p>নিখোঁজ সোয়েব হাসান উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোষগাতী গ্রামের আবদুস সালাম বাবু মিয়ার একমাত্র সন্তান। সে ঢাকা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।</p> <p>পুলিশ ফায়ার সার্ভিস, নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্ধুরা মিলে ২০ জন শিক্ষার্থী গত বুধবার সকালে উল্লাপাড়া থেকে একটি নৌকা নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার রাউতারা জলকপাট এলাকায় পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। এরই একপর্যায়ে বেলা আড়াইটার দিকে তারা সবাই গোসল করতে নদীতে নামলে সাঁতার না জানায় সোয়েব হাসান নদীর পানিতে ডুবে যায়। সে সময় সহপাঠীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে খবর দেয়। </p> <p>খবর পেয়ে শাহজাদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল এসে অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ সোয়েবকে না পেয়ে রাজশাহীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। দুই দফায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কোনো সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। এর পাঁচ দিন পর রবিবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুরের বাড়িঘাট এলাকায় লাশটি ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।</p> <p>ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স শাহজাদপুর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার বিকেলে রাজশাহী থেকে চার সদস্যের ডুবুরি দল এসে দু দফায় উদ্ধার কাজ শুরু করে। এরপরও নিখোঁজের কোনো সন্ধান মেলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে। </p> <p>শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সবুজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। </p>