<p>দূর থেকে দেখলে কাঠামোটিকে সেতুর মতোই মনে হয়। কাছে এলে দেখা যায় এটি একটি সেতুর ধ্বংসাবশেষ। শুধু লোহার কাঠামো ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছু নেই। পিরোজপুরের নাজিরপুরের দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়নের একটি খালের আয়রন ব্রিজটি সংস্কার না করায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এ ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১০ হাজার মানুষ।</p> <p>জানা গেছে, উপজেলার দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর বাজার-সংলগ্ন মনোহরপুর খালে এক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দাঁড়িয়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। ২৫০ ফুট দীর্ঘ এই আয়রন ব্রিজের পাশে মনোহরপুর বাজার থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া করতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।</p> <p>এলাকাবাসী জানায়, বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে তাদের এ সেতুই পারাপার হতে হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রবল স্রোতের পাশাপাশি বেপরোয়া ট্রলার চালিয়ে আঘাত করায় বেশ কয়েকটি পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সেতুটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।</p> <p>সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোহার স্তম্ভের ওপর সিমেন্টের পাটাতন দিয়ে তৈরি সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও নাজুক হয়ে পড়েছে। সেতুটির এক-তৃতীয়াংশ সিমেন্টের পাটাতন রয়েছে, বাকি অংশে পাটাতন নেই।</p> <p>স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীন আকন্দ জানান, পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আয়রন ব্রিজটি একদিকে হেলে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয়রা সেতুটির পাটাতনের কিছু অংশ সরিয়ে ফেলেছে। ফলে সেতু দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।</p> <p>দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, মনোহরপুর বাজার এলাকার এটি একটি বড় বাজার। সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় এ বাজারে আসা-যাওয়াসহ অন্যান্য কাজে সেতুটি পারাপারে এলাকাবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই সেতুটি শিগগির সংস্কার করা প্রয়োজন।</p> <p>উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির মিয়া বলেন, ‘২৫০ ফুট দীর্ঘ এই আয়রন ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই রকম কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>