<p style="text-align:justify">কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সা‌বেক সংসদ সদস্য এমএ ম‌তি‌নের বিরু‌দ্ধে বসতবা‌ড়ি উচ্ছেদ ক‌রে জ‌মি দখ‌লের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা‌টি ২০১৯ সা‌লের হ‌লেও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের এম‌পি হওয়ায় ভ‌য়ে মুখ খুল‌তে পা‌রে‌নি ভ‌ুক্ত‌ভোগী প‌রিবারগু‌লো। এরপর গত ২০ আগস্ট ভুক্ত‌ভোগীরা ওই জ‌মি‌তে গে‌লে তা‌দের‌ ভয়ভী‌তি ও হুম‌কি প্রদান করা হ‌য়। প‌রে গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) এম‌পি ম‌তিনসহ ১২ জ‌নের নাম উল্লেখ ক‌রে অজ্ঞাত ৮০-৯০ জ‌নের বিরু‌দ্ধে উলিপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">থানায় দেওয়া অভিযোগ সূ‌ত্রে জানা যায়, উপ‌জেলার থেতরাই ইউনি‌য়‌নের কিশোরপুর বাড়াইপাড়া গ্রা‌মের মৃত আব্দুল লতিফের ছে‌লে আব্দুন নাছিরের (৪৬) স‌ঙ্গে রামদাস ধনিরাম নূরপুর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছে‌লে ফুলবাবু (৪৮) গং‌দের স‌ঙ্গে ৩১ শতক ‌পৈ‌ত্রিক বসত ভিটা নি‌য়ে বি‌রোধ চ‌লে আসছে। যা ২০১২ সাল থে‌কে আদাল‌তে মামলা বিচারাধীন। আব্দুন নাছির সা‌বেক এম‌পি এম‌এ ম‌তি‌নের আপন বড় ভাই আব্দুল করি‌মের মে‌য়ে জামাই। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, আদালতে মামলা চলমান থাকাকালে ২০১৯ সালের ২১ মে‌ সা‌বেক এম‌পি এমএ ম‌তি‌নের হুকু‌মে তার লোকজন অ‌স্ত্র শস্ত্র নি‌য়ে ওই জমিতে থাকা সাতটি টিনের বসত ঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে নি‌য়ে যায়। যার আনুমা‌নিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা। প‌রে সেখা‌নে গোডাউন ঘর নির্মাণ করা হয়। এমতাবস্থায় গত ২০ আগস্ট সকালে ভুক্ত‌ভোগীরা বি‌রোধপূর্ণ জ‌মি‌তে গে‌লে তা‌দের হুম‌কি ধাম‌কি দি‌য়ে তা‌ড়ি‌য়ে দেওয়া হয় ব‌লে অভিযোগে উল্লেখ ক‌রেন ফুলবাবু মিয়া।</p> <p style="text-align:justify">ভুক্ত‌ভোগী ফুলবাবু জানান, ঘটনার সময় (২০১৯ সাল) সা‌বেক এম‌পি এমএ ম‌তিন ক্ষমতায় ছি‌লেন। সে সময় থানায় মামলা কর‌তে গে‌লেও পু‌লিশ মামলা নেয়‌নি। সু‌বিচার পে‌তে যেখা‌নে যাওয়া দরকার প্রয়োজ‌নে আমরা সেখা‌নে যাব।</p> <p style="text-align:justify">উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার ক‌রে বলেন, বিষয়‌টি আদাল‌তে বিচারাধীন। আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হ‌চ্ছে না।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগের বিষ‌য়ে সা‌বেক এম‌পি এমএ ম‌তিনের স‌ঙ্গে মোবাইল ফো‌নে একা‌ধিকবার যোগা‌যোগ করার চেষ্টা করা হ‌লেও তি‌নি ফোন রি‌সিভ ক‌রেন‌নি।</p>