<p style="text-align:justify">ইবতেদায়ি মাদরাসাকে লালন করতে না পারলে ইসলামী শিক্ষা অসম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বৈষম্যের শিকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা : উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">সভায় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইবতেদায়ি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, এটা বৈষম্য।’</p> <p style="text-align:justify">আলোচনাসভায় সাতটি দাবি উপস্থাপন করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকরা। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি পূরণে শিক্ষা উপদেষ্টাকে ডিও লেটার দেব। আশা করি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ দাবি পূরণ করতে না পারলেও মোটামুটি কিছু কাজ শুরু হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনাকে দেখতে পদ্মা সেতুতে সারজিস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/23/1732362496-9e8a01bfb2c96c61eda1158eb7452e8d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনাকে দেখতে পদ্মা সেতুতে সারজিস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/23/1449781" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রত্যেকে‌ নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে যাতে শিখতে পারে সে ব্যবস্থা করব। এ দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষা, ধর্ম চর্চা ও ধর্ম শিক্ষার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার।’</p> <p style="text-align:justify">স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ফোরামের দাবিগুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিটিউট কর্তৃক স্টাডি রিপোর্টের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহ জাতীয় করতে হবে; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতাদি/অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৪ দ্রুত বাস্তবায়নের ঘোষণা দিতে হবে; স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে; রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় ১ জন অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টি করা; এবং ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলার অনুমোদন করা ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।</p>