<p style="text-align:justify">ক্যাম্পাসের নাম পরিবর্তনসহ ১৫ দাবিতে নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাব এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন নরসিংদী তাঁত বোর্ড শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের বিএসসির শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তাদের দাবি পূরণে ইনস্টিটিউটের কয়েক শত শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান ও স্লোগান দেন। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।</p> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ, সেমিস্টার ফি মওকুফ, তাঁত বোর্ড শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন।</p> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৮০ সালে হস্তচালিত তাঁত শিল্প ও সরঞ্জামাদি উন্নয়ন কেন্দ্র নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তাঁত শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নরসিংদী নামকরণ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (ভোক) কোর্স চালু হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কারিকুলাম অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৮-২০১৯ সেশনে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করা হয়। ২০১৯ সালে ক্লাস ও শিক্ষার অনুপযুক্ত পরিবেশ দেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেও কোনো সুরাহা পাননি, উল্টো লাঞ্ছনার শিকার হন।</p> <p style="text-align:justify">স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর গত ১৯ আগস্ট থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল প্রতিষ্ঠানটিতে। ক্যাম্পাস প্রশাসনসহ বিএসসি পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে ৩ দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি।সর্বশেষ বিএসসি পরিচালনা পরিষদের বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে গোঁজামিলের আশ্রয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। গত ৫ বছর ধরে সমস্যা সমাধানে কোনো সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন।</p> <p style="text-align:justify">ইনস্টিটিউটের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাহিদ হাসান বলেন, ‘তাঁত বোর্ড শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩টি প্রতিষ্ঠান। সবার একটি মাত্র ক্যাম্পাস। আমরা পৃথক ক্যাম্পাস চাই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের কাছ থেকে সেমিস্টার ফি আদায় করা হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় কোনো স্থায়ী শিক্ষক নেই। কিন্তু শিক্ষার্থী ৩০০ জন। অতিথি শিক্ষক দিয়েই সারা বছর কারিকুলাম পরিচালনা করা হচ্ছে। স্থায়ী শিক্ষক যদি না থাকে, তাহলে কেন প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হলো।’</p> <p style="text-align:justify">আরেক শিক্ষার্থী শাওন রহমান বলেন, ‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাটি ২০১৯ সালে চালু করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান বলা হলেও সব ফাঁকা বুলি। ল্যাব নেই, হল নেই, ঠিকমতো শ্রেণিকক্ষ নেই। ফ্যাশন ডিজাইনের কক্ষে ডিপ্লোমা পাস শিক্ষক দিয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়।'</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে জানতে তাঁত বোর্ড শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।’</p>