<p>জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষা না দিয়ে ফলাফলে সাধারণ গ্রেডে মেধাবৃত্তি উত্তীর্ণের তালিকায় নাম আসে মোছা. মারিয়াম আক্তারের। এ বিষয়টি সারা উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।</p> <p>এই উপজেলার দুটি কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় একটি সরকারি একে মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র ও সানন্দবাড়ী কলেজ কেন্দ্রে।</p> <p>উত্তীর্ণদের তালিকায় অন্যান্যদের ভেতর পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া মারিয়াম আক্তারকে সাধারণ গ্রেডে উত্তীর্ণ দেখানো হয়, তার রোল নম্বর ৫৪। </p> <p>সেই তালিকায় মরিয়মের নাম দেখে স্কুলের সবাই হতবাক হয়।  দেওয়ানগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মারিয়াম আক্তারের বাড়ি উপজেলা ডালবাড়ী, সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকটবর্তী এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানে মেয়ে। </p> <p>ওই স্কুলের শিক্ষক মো. আবু হানিফা কালের কণ্ঠকে বলেন, সেই ছাত্রী আমার আত্মীয়। প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে সে নিবন্ধন করে। কিন্তু পরিক্ষার দু'দিন আগে সে অসুস্থ হওয়ায় তাকে দুই সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। সে কারণে সে নিবন্ধন করেও প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরিক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। কিন্ত বৃত্তি কিভাবে  নাম এলো জানি না। </p> <p>উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পরীক্ষায় উপজেলার ১৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মোট এক হাজার ২৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গতকাল ফলাফল ঘোষিত হলে তার মধ্যে ১০৩ জন সাধারণ গ্রেডে ও ৮২জন ট্যালেন্টপুলে উত্তীর্ণ হয়।  </p> <p>ওই বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে একজন ট্যালেন্টপুল ও তিনজন সাধারণ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।</p> <p>মারিয়াম আক্তারের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মারিয়াম আক্তার মেধাবৃত্তি পরিক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্ত পরীক্ষার দু'দিন আগে সে কানের সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে কারণে তাকে ঢাকায় এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারিয়াম আক্তারের উত্তীর্ণের খবরে তিনি আশ্চার্য হয়েছেন।</p> <p>দেওয়ানগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক গুলশান আরা ফেরদৌসী জানান, মারিয়াম আক্তার প্রাথমিক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্যে নিবন্ধন করেছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্যে পরিক্ষা দিতে পারেনি।</p> <p>উপজেলা  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা জানান, সেই ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তবু বৃত্তিতে নাম এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি এবং পরিক্ষার্থীর কাগজপত্র পাঠিয়েছি। </p> <p>ফলাফলে হয়ত কোনো ত্রুটি হয়েছে- এ মর্মে আমাদের কাছে কর্তৃপক্ষের চিঠিও এসেছে। পরবর্তিতে সংশোধনী ফলাফল না আসা পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশের নিষেধজ্ঞাও রয়েছে। সংশোধিত ফলাফল আমরা খুব শিগগিরই হাতে পাবো।<br />  </p>