<p>অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধসহ ৪ দফা দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে আমদানিকারকরা।</p> <p>রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে সকল আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দেন তারা। </p> <p>আমদানিকারকদের দাবিগুলো হলো, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোট লিংক লিমিটেড কর্তৃক পাথর বোঝাই ট্রাকের পণ্য খালাসে মাশুল আদায় কমাতে হবে, বিগত দিনে ব্যবসায়ীদের দেয়া ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা তদন্ত করতে হবে, পানামার এক নাম্বার গেটে দিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশের সময় পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেড ভারতীয় ১৭০ থেকে ১৮০ রুপি নিয়ে থাকেন। এটি বাংলা টাকায় আনতে হবে, পানামা চত্বরে ২৪ ঘণ্টার বেশি একটি ট্রাক অবস্থান করলে ২০০ রুপি চার্জ কাটা বন্ধ করতে হবে। </p> <p>আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে হঠাৎ পাথরের ট্রাকে ৭৮৩ টাকার পরিবর্তে ৮ হাজার টাকা মাশুল আদায় শুরু করে। এছাড়া এসব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না করে পানামা পোর্টের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে আমরা জানতে চাই।  </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরটি দ্বিতীয় হলেও ২০০৬ সালে বন্দরটি উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিওটির শর্ত মোতাবেক বন্দরের অভ্যন্তরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারেনি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। এ ছাড়া ফোর্ক লিফট, ক্রেন, রেকার, হেভিওয়েট স্কেলের মতো পূর্ণ সক্ষমতার লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে পারেনি পানামা।</p> <p>আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলমগীর জুয়েল বলেন, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কম্পানির স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা একদিকে যেমন পণ্য খালাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে সরকারি রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর তাই পানামা পোর্ট অপারেটরের যাবতীয় বিল ব্যাংক বুথে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা, পানামার আভ্যন্তরীণ পরিধি বৃদ্ধি, লোড-আনলোডে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এবং পানামার অভ্যন্তরে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এই চার দফা না মানলে আমদানি রপ্তানি বন্ধই থাকবে। </p> <p>সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্টলিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, সরকারের নির্ধারিত পণ্য খালাসের যে মাশুল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। তারা ২০১৯ সালে একটি পাথরের ট্রাকে ৭৮৩ টাকা মাশুল দিতেন। এখনো সেই ৭৮৩ টাকা দিতে চান। কিন্তু সরকার তো মাশুলের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। এখন একটি পাথরের ট্রাকে মাশুল আদায় হয় প্রায় ৪ হাজার টাকা। আর ১ নাম্বার গেটে ১৭০-১৮০ রুপি নয় ১৫০ রুপি নেওয়া হয়। এছাড়াও তারা আরও যে অভিযোগ গুলো করছেন সেগুলো ভিত্তিহীন।</p>