<p>শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাস প্রদান, অর্জিত ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার শিল্প-কারখানার পরিবেশ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে  ইতোমধ্যে অন্তত ১৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। </p> <p>এর আগে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন জিএবি লিমিটেডসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।</p> <p>জিএবি লিমিটেডের শ্রমিকরা জানান, তারা কিছু যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করেছিলেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর প্রতিবাদে তারা আজ মাঠে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে।</p> <p>শ্রমিকদের দাবিগুলো একেক জায়গায় একেক রকম। কিছু অভিন্ন দাবির মধ্যে আছে হাজিরা বোনাস ও টিফিন বাবদ অর্থ দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করা, উশৃঙ্খল কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা ইত্যাদি। আবার স্নোটেক্স কারখানায় অসন্তোষ তৈরি হয়েছে নিয়োগ নিয়ে।</p> <p>অন্যদিকে আশুলিয়ায় ঘোষবাগ এলাকার নাশা গ্রুপের শ্রমিকরা টিফিন বিল বৃদ্ধি, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, বাৎসরিক অর্জিত ছুটির টাকা প্রদানের দাবিতে কারখানায় বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী হা-মীম গ্রুপ, নিউএইজ, আল-মুসলিম, জনরনসহ বেশ কিছু কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাগুলো ছুটি দিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইকিং করে শ্রমিকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।<br />  <br /> আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, জিএবি লিমিটেডসহ স্নোটেক্স, স্টারলিং গ্রুপ, নাসা, হা-মীম গ্রুপ, আল-মুসলিম অ্যাপারেলস ও একমি অ্যাগ্রোভেট অ্যান্ড কনজ্যুমারস লিমিটেডের কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।</p>