<p>বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘মেধা একটি স্বাধীন শক্তি। কেউ মেধা নিয়ে জন্মায়, আবার কেউ মেধা নিয়ে জন্মায় না। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। আগের ইতিহাস ও পরের ইতিহাস মিলিয়ে চিন্তা করলে দেখা যায়, মেধা একমাত্র কোনো কারণ নয়। অর্থাৎ আমরা মেধাকে স্বাধীন শক্তি মনে করি, এটা না-ও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ‘সপ্তম শ্রেণিতে ক্যাডেট কলেজে যদি আমি ভর্তি হই তাহলে আমাকে শৃঙ্খলার সঙ্গে পড়াশোনা করানো হবে। তাতে আমার পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনাটা বেড়ে যাবে। প্রমাণ হবে, আমি মেধাবী বেশি। আবার ক্যাডেট কলেজে সব সময় মেধাবীদের ভর্তি করানো হয়ে থাকে। তাই আমি মনে করি, গণতন্ত্রকেও আগে একটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে। গণতন্ত্রকে ন্যায়ভিত্তিক হতে হবে। ন্যায় মানে যার যা প্রাপ্য তাকে তা দিতে হবে।’<br />  <br /> শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারে সাহিত্য আন্দোলন ‘ধাবমান’-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে জাতীয় সংবিধানের রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৫ বছর আপনারা ঠিকমতো ভোট দিতে পারেননি, তা সত্য। আপনাদের কাছে সেটাই মনে হবে দেশের বড় সমস্যা। কিন্তু তার পেছনে অনেক সমস্যা রয়েছে। ভোট দিয়ে অনেক কিছুই হচ্ছে না। অনেক কিছু ভোটের আওতায় বাহিরে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশে নতুন করে যেভাবে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তা রক্ষা করতে হলে আমাদের ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তা না হলে যেকোনো মুহূর্তে এটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমাদের মূল দাবি হবে সবার জন্য সমান অধিকার। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’</p> <p>  <br /> ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘ধন-সম্পদের ক্ষেত্রে যদি সমতা প্রতিষ্ঠা করা না হয় তাহলে শুধু ভোটাধিকার দিয়ে তেমন কিছুরই পরিবর্তন ঘটানো যায় না। আমরা সমাজেও তাই দেখতে পাই। বড় লোকেরা শুধু নির্বাচিত হতে পারে। আর গরিবদের কাজ শুধু এই পক্ষকে ভোট দেও, নয়তো অন্য পক্ষকে ভোট দেও। গণতন্ত্রের ধারণাকে যদি ভোটের অধিকার থেকে সরিয়ে আনি তাহলে সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। সর্বশেষ যে আন্দোলন হলো সেটাও গণতন্ত্রের একটি উদাহরণ।’<br />  <br /> ধাবমান-এর আলোচনা কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রহমান সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান তানু প্রমুখ।</p>