<p>বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্র হত্যা করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। দেশের সংবিধানকে টেনে-ছুড়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে পরিণত করেছিল। তার পরিণতিতে এককাপড়ে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। </p> <p>আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের হলরুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>আমরা বিশ্বাস করি, দেশে এখন সত্যিকার গণতন্ত্র আসবে। অন্যায় করে কেউ কখনো টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে দেখে সবার শিক্ষা নিতে হবে। স্বৈরাচারমুক্ত করতে ছাত্র-জনতাকে রক্ত দিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে। এই স্বাধীনতাকে কখনো জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না।’</p> <p>কায়সার কামাল আরো বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেব। তবে আশা করব, দ্রুত একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটে যে সরকার নির্বাচিত হবে তাদের হাতে তারা ক্ষমতা তুলে দেবে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমার নিজ জেলা নেত্রকোনা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অসাম্প্রদায়িক জেলা। এখানে পাহাড়-হাওর-সমতল সব আছে। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই আদিকাল থেকে মিলেমিশে বসবাস করছি। এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’</p> <p>‘আওয়ামী লীগ সরকার পতন হয়েছে। দেশ লুট করে তাদের এখন অনেক টাকা। তা নিয়ে তাদের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় বিএনপির সঙ্গে মিশে অপকর্ম চালাতে পারে। কোনো অপশক্তি যেন কাজ করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’</p> <p>কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ খায়েরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুর রহমান পাঠান বাবুলের সঞ্চালনায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ছাড়াও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। </p> <p>আলোচনাসভা শেষে ঢাকায় নিহত কলমাকান্দা উপজেলার সন্তান শহীদ মো. আহাদুন, মো. সোহাগ মিয়া, মেহেদি হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন কায়সার কামাল।</p>