<p>সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় করা ওই মামলায় তার স্ত্রী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে। </p> <p>মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ নিয়ে পাঁচটি হত্যাসহ ছয়টি মামলা হলো। তবে এই প্রথম তার স্ত্রীকে কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে।<br />  <br /> ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেলে জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বিসিক রাস্তার সামনে সংঘর্ষের সময় কাউসার আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় তার চাচা আকরাম হোসেন আদনান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। কাউসার জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির বুধল পশ্চিমপাড়া এলাকার আলী আহম্মেদর ছেলে। মামলায় ১৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p>ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, মামলায় ১৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-১৫০ জনেক আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। <br />  <br /> মামলার আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ভূইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মাছিহাতা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন পাভেল। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেশ কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।</p> <p>মামলায় আকরাম হোসেন আদনান অভিযোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিসিক রাস্তার সামনে মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। তাদের ছোড়া গুলিতে কাউসার মারা যান। ওই সময় পুলিশ ও প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।</p>