<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের উন্নতির জন্য উদ্যোক্তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়। তিনি বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করি। আমাদের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোক্তা প্রয়োজন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের আয়োজনে উদযাপিত গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দেশের বেশির ভাগ উদ্যোক্তা স্বল্পশিক্ষিত। যারা উচ্চশিক্ষিত হন তারা বেশির ভাগ চাকরিমুখী। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় চাকরি ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারি না আমরা। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও কথাটা একইভাবে প্রযোজ্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কারিকুলামে বরাবর যেটা চলে এসেছে, সেটা আমাদের সেই চাকরিভিত্তিক শিক্ষাই দেয়, যে বিষয়টি আমরা অবজ্ঞা করেছি বিগত কারিকুলামে। এর কয়েকটি পজিটিভ দিকও ছিল; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাকটিক্যালি কাজ করে আয়ত্ত করা, যৌথভাবে কাজ করা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই প্রসঙ্গগুলো ছিল, কিন্তু সেগুলো আমরা বর্জন করেছি। এর কারণ আমাদের মানসিক জড়তা। অভিভাবকরা মনে করেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা সেটাই করবে যেটা আমরা করে এসেছি। শিশুদের শুধু পরীক্ষা দিতে হবে, তাতে ভালো মার্কস পেতে হবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাই লক্ষ্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপদেষ্টা আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষের জন্য স্পেসিফিক বিষয় হলো, তার কল্পনা উদ্ভাবনী। আমি মনে করি, আমাদের কারিকুলাম এমন হওয়া উচিত, যেখানে মানুষ মুক্তচিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ হবে, যেখানে উদ্ভাবনী চিন্তা উৎসাহিত হবে। সমাজের সবাই এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে অংশ নিলে সরকারের জন্য এ কাজ সহজ হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ড্যাফোডিল প্লাজার ৭১ মিলনায়তনে আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ সামিট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দক্ষতা বিশেষজ্ঞ গুনজন দাল্লাকটি এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেনস এন্টারপ্রেনারসের সভাপতি ড. রুবিনা হোসেন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক ২০২৪-এর ন্যাশনাল হোস্ট ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছর গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ উইক বিশ্বের ২০০টি দেশজুড়ে উদযাপিত হয়, যেখানে ৪০ হাজারের বেশি ইভেন্ট এবং ১০ মিলিয়ন মানুষ এই উদযাপনে অংশ নেয়। বাংলাদেশে গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক-বাংলাদেশ ৫০টিরও বেশি অংশীদার সংস্থার সঙ্গে ৫০০টির বেশি ইভেন্ট আয়োজন করে।</span></span></span></span></p>