<p>দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদানকারী শিল্পগুলো বিশেষ করে ইস্পাতশিল্প রক্ষার্থে ইস্পাত পণ্য বিক্রিতে টনপ্রতি উৎস কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়নের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রডের দাম সহনীয় রাখতে শুল্ককর ও ভ্যাট কমানোর বিষয়ে সরকারি সহায়তার বিকল্প নেই। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে আলাপকালে মোস্তফা হাকিম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন ইস্পাত লিমিটেড ও এইচএম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরওয়ার আলম এই দাবি জানান।</p> <p>তিনি বলেন, আসন্ন বাজেটে ইস্পাতশিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে টনপ্রতি কাস্টমস ডিউটি এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা এবং টনপ্রতি অগ্রিম আয়কর ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত। বর্তমানে ভ্যাটের প্রথম আপিলের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। আগামী বাজেটে এই ২০ শতাংশ অর্থ জমার শর্ত প্রত্যাহার করে এবং আপিলের সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন করা হলে ইস্পাতশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।</p> <p>এ ছাড়া ইস্পাত উৎপাদনে মোট খরচের ১৫ শতাংশ ব্যয় হয় জ্বালানি খাতে। এমন সংকটময় মুহূর্তে হঠাৎ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বারবার গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ইস্পাতশিল্পকে মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে ফেলছে। অবস্থা বিবেচনা করে সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এ বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ সরওয়ার আলম বলেন, ডলারসংকটে স্টিলের কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খোলার সমস্যাসহ ডলারের বিনিময় মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্টিলের কাঁচামাল আমদানি চরমভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে উৎপাদনের ব্যয়ভার বহুগুণ বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্মাণশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাউজিং, সিমেন্ট, সিরামিক, হার্ডওয়্যারসহ শতাধিক শিল্প ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় ব্যাবসায়িক পরিধি কমাতে বাধ্য হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এই বিরূপ পরিস্থিতিতে কর্মহীন হচ্ছে অনেকে। সামগ্রিকভাবে স্টিলশিল্পসহ এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ৫০ লাখ জনবল অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন হচ্ছে।</p>